তারুণ্য ডেস্ক
আলোকচিত্র এবং তারুণ্য
বর্তমানে বাংলাদেশে আলোকচিত্রের ধরনটাই বদলে গেছে। এখন অনেক শিক্ষিত আলোকচিত্রী এদেশের বিভিন্ন মূলধারার বাংলা এবং ইংরেজি পত্রিকায় কাজ করছে। আলোকচিত্রের গুণগতমানও বেড়েছে অনেক। বিশেষ করে পত্রিকাগুলোতে বেতনভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও বেড়েছে আলোকচিত্রীদের। অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের আলোকচিত্রীরা অংশগ্রহণ করছে এবং বিজয়ী হয়ে ফিরে আসছে। কেউ যখন আলোকচিত্রকে পেশা হিসেবে নিচ্ছে, তখন তার উচিত তার আচরণ এবং ব্যবহারে আরো বেশি পেশাদার হওয়া। এক্ষেত্রে একজন আলোকচিত্রী আলোকচিত্র ধারণ করে উপার্জন করছেন এমন বিষয়কে কেবল পেশাদারিত্ব বলা হচ্ছে তা নয়, বরং তিনি তার কাজটি করতে কী ধরনের দক্ষতা দেখাচ্ছেন সেটাও পেশাদারিত্বের মধ্যেই পড়ে।
এখনকার তরুণরা আলোকচিত্রের ব্যাপারে অনেক বেশি আগ্রহী এবং অনেকেই অনেক সৃজনশীল প্রতিভার অধিকারী। বর্তমান সময়ে তথ্য-প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ার কারণে তরুণরা আলোকচিত্র সম্পর্কে শিখছে। বাংলাদেশে আলোকচিত্র প্রশিক্ষণের সুযোগ পর্যাপ্ত নয়। এখানে একটিমাত্র আলোকচিত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে যার নাম ‘পাঠশালা’। তবে সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো বাংলাদেশে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে আলোকচিত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা আর্ট কলেজেও এ ব্যাপারে কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না।
‘পাঠশালা’ সম্পূর্ণভাবেই একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান। এখন অনেক বেশি মানুষ আলোকচিত্র সম্পর্কে জানছে এবং একে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার মতো সাহস দেখাচ্ছে। নব্বইয়ের দশকে এই আলোকচিত্র প্রশিক্ষণের প্রতিষ্ঠান চালু হওয়ার পর অনেত তরুণ এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ‘ছবিমেলা’ হলো সেসব আলোকচিত্রীর প্লাটফর্ম, যারা বড় আন্তর্জাতিক ছবিমেলায় যেতে পারেননি। এই মেলায় বিষয়বস্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নানা ধরনের প্রশ্নকে সামনে নিয়ে আসে এবং নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী এবং একইসঙ্গে ধারণাগত বিষয়গুলোকেও তুলে ধরে।
বর্তমান সময়ে আলোকচিত্র ধারণের ধরন অনেকখানি বদলে গেছে। এখন অনেক নতুন ধারণা এবং বৈশিষ্ট্যের কাজ হচ্ছে। গল্প বলার নান্দনিকতার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে প্রচুর। নতুন প্রজন্ম যদি আলোকচিত্রের গল্প বলার ক্ষেত্রে অনলাইন প্রযুক্তিকে খুঁজে বের করে, তাহলে তাদের কাজে উৎকর্ষ বাড়বে।
"