মাহবুবুল আলম

  ১৭ নভেম্বর, ২০১৭

সমালোচক-লেখকের দায়বদ্ধতা

সাহিত্য হলো মানুষের সুচিন্তিত ভাবনা, কল্পনার সুবিন্যস্ত ও সুপরিকল্পিত লিখিত রূপ। তাই সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে মানুষ তার চিন্তা ও কল্পনাশক্তির উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে সাহিত্য অনুশীলনে নিজেকে নিয়োজিত করে নিজের ভেতরের আলাদা একটা জগত সৃষ্টির প্রয়াস পায় এবং এর মাধ্যমে সে তার ভেতর একটি শুদ্ধ ও পরিশীলিত সংস্কৃতির পরিমন্ডল গড়ে তুলতে পারে। তাই মানুষেরই সাহিত্যের প্রতি এক অসীম আকর্ষণ থাকে। সাহিত্যপাঠের মাধ্যমে একজন পাঠক এর রস আস্বাদন ও আনন্দ উপভোগ করে থাকেন; হোক সেটা গল্প, কবিতা, উপন্যাস, গান, প্রবন্ধ বা নিবন্ধ। লেখক তার পাঠকদের মনে রসবোধ, আনন্দ-বেদনার বিনোদনের বিষয়টি মাথায় রেখেই সাহিত্যকর্ম রচনায় নিজকে নিয়োজিত করেন এবং নিজ রচনাশৈলীর মাধ্যমেই পাঠকের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান এবং উৎকর্ষ সাধনের সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে থাকেন। তবে একজন লেখকের সব রচনাই যে পাঠকের মনে উৎকর্ষ সাধন বা আনন্দ-বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে এমনটি কিন্তু নয় বা তা কখনো হতে পারে, আবার না-ও হতে পারে। একজন মানুষের ভালো লাগা না লাগার মধ্যে নিহিত রয়েছে সমালোচনা বিষয়টি। এই নিয়ে সাহিত্যে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করে তুলেছে সমালোচনা-সাহিত্য। সমালোচনা শব্দটির প্রতিশব্দ criticism-কে একালের ভাষ্যকার মার্টিন গ্রে সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে- the interpretation, analysis, classification and ultimately judgement of works of literature, which has become a kind of literary genre itself.

আর সাধারণ বা একেবারে চলতি কথায় সমালোচনা বলতে গেলে, মনোভাবের বিরূপতা, এমনকি ছিদ্রান্বেষণও বোঝায়। তাই এটি সামগ্রিক যথাযথ যুক্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হওয়া প্রয়োজন। একজন সমালোচকের তার ব্যক্তি মানসের ভাবনার সঙ্গে সমালোচনাকে মিলিয়ে ফেলা উচিত নয়। কেননা, প্রত্যেক মানুষেরই দৃষ্টিভঙ্গি বা ভাবনার বিস্তার এক নয়। সে হিসেবে একজন লেখক ও সমালোচকের বোধ এবং ধারণায় মিল হবে তা কিন্তু নয় এবং তা হয় না। তখনই সমালোচক ও লেখকের মধ্যে মতপার্থক্য, তিক্ততা ও বিরোধ সৃষ্টি হয়। আমরা প্রায়ই দেখতে পাই, পক্ষপাতদুষ্ট সমালোচনা, ব্যক্তিগত আক্রোশ ও রসবোধের অভাবের কারণে বৈরী পরিবেশেরও সৃষ্টি হয়ে থাকে। অপরদিকে সমালোচকের নিজস্ব পছন্দের কারণে কোনো রচনা বা তার লেখক সম্পর্কে অপ্রয়োজনীয় উচ্ছ্বাস দেখাতে দেখা যায়। তাই এর কোনোটাই আদর্শ সমালোচনা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। একজন সমালোচক তার অনুশীলনের মাধ্যমে পর্যালোচনায় স্বকীয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটাবেন, যা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এ কথাও তাকে স্মরণ রাখতে হবে তার ব্যক্তিগত রুচি, ভালো-মন্দ লাগার ভিত্তিতেই একটি সাহিত্যকর্মের মূল্যায়ন নির্ধারিত হবে না। সমালোচকদের থাকতে হবে উদারতা, সহৃদয়তা এবং সর্বোপরি রসবোধ। তা না থাকলে তাতে শিল্পসাহিত্যের আনন্দ ও নান্দনিকতা যথাযথভাবে উপস্থাপিত হবে না। সেই বিবেচনায়ই Richard Dutto সংজ্ঞায় বলেছেন- সমালোচনা হলো The understanding and appreciation of literary texts.

ঠিক কবে ও কখন থেকে বাংলা সমালোচনা সাহিত্যের সূচনা হয়েছে তা নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার ইতিহাস দীর্ঘদিনের নয়। এ বিষয়ে যতটুকু জানা যায়, রাজেন্দ্রলাল মিত্র সম্পাদিত ‘বিবিধার্থ সংগ্রহ’ মাসিকপত্রে প্রথম বাংলা সমালোচনার সূত্রপাত হয়। এখানে বিদ্যাসাগর, রাজনারায়ণ, মধুসুদন, রঙ্গলাল, দীনবন্ধু প্রমুখের বহু গ্রন্থ সমালোচিত হয়, যার অধিকাংশই কালীপ্রসন্ন সিংহের রচনা। বঙ্কিমচন্দ্রের হাতেও বাংলা সমালোচনা সাহিত্যের প্রসার ঘটে। ‘উত্তর চরিত’, ‘বিদ্যাপতি ও জয়দেব’, ‘শকুন্তলা’ ইত্যাদি সমালোচনা প্রবন্ধে তিনি দক্ষতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্রের আগে ও তার সমকালীনদের মধ্যে সমালোচনার ক্ষেত্রে রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, মধুসুদন, কালীপ্রসন্ন ঘোষ, চন্দ্রনাথ বসু ও অক্ষয়চন্দ্র সরকারের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে। বাংলা সমালোচনা সাহিত্যের প্রাণপুরুষ রবীন্দ্রনাথ শিল্পবোধ, সৌন্দর্য-উপলব্ধি, রসবোধ ও অধ্যায়নজাত পরিশীলিত মননে সমালোচনাকে দিয়েছেন এক স্বতন্ত্র মাত্রা। সমালোচনা সাহিত্যের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ ছিলেন অদ্বিতীয়। তিনি সাহিত্য ছাড়াও সমাজ, শিক্ষা, ধর্ম ও দর্শন প্রভৃতি বিষয়ে সমালোচনায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। তার প্রাচীন সাহিত্য, আধুনিক সাহিত্য, সাহিত্যের পথে ইত্যাদি সমালোচনা গ্রন্থের কথা এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আর তার সমসাময়িক সাহিত্য সমালোচকদের মধ্যে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী, দীনেশচন্দ্র সেন, বিপিনচন্দ্র পাল ও অজিত চক্রবর্তীও সমালোচনা সাহিত্যে বিশেষ নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন। রবীন্দ্রোত্তর সমালোচকদের মধ্যে বঙ্গবাণী ও বণীমন্দিরের লেখক শশাঙ্ক মোহন সেন, কাব্য জিজ্ঞাসার অতুলচন্দ্র বসু, সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত প্রমুখের নাম স্মরণ করতেই হবে। এছাড়াও শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, সাধনকুমার ভট্টাচার্য, জগদীশ ভট্টাচার্য, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, নারায়ণ চৌধুরী, দীপ্তি ত্রিপাঠী, শঙ্খঘোষ সমালোচনা সাহিত্যের বিস্তার ঘটিয়েছিলেন। একই সঙ্গে মোহিতলাল মজুমদার- যিনি পাশ্চাত্য সমালোচনার ধারাকে বাংলায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এছাড়াও অনেক বিদগ্ধ সমালোচক বাংলা সমালোচনা সাহিত্যে বিশেষ অবদান রেখেছেন। সৈয়দ আলী আহসান, হাসান হাফিজুর রহমানও সমালোচনা সাহিত্যের বৃত্তভাঙার ঔদার্য ও বৈদগ্ধের পরিচয় দিয়েছেন। আর সৈয়দ আলী আহসান সাহিত্য সমালোচনার ক্ষেত্রে নির্মোহ নিরাসক্ত ছিলেন বলেই নজরুল সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বুদ্ধদেব বসুর সঙ্গে একমত হতে পারেননি।

সমালোচক একটি শিল্পকর্মকে বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর ইতিবাচক দিক ও নেতিবাচক দিক নিয়ে নিবিড়ভাবে আলোচনা করেন। তিনি একটি রচনার ভাব, বিষয়বস্তু, ভাষার প্রয়োগ, রচয়িতার দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসদৃষ্টি এবং রচনাশৈলীর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তার ভালো-লাগা না লাগাকে যুক্তিগ্রাহ্যতার সঙ্গে বিচার বিশ্লেষণের দ্বারা সম্যকভাবে ব্যক্ত করেন। সাহিত্য রচনা ও পাঠ বা অনুশীলনের পরেই তিনি শুরু করেন সাহিত্যের মূল্যবিচার। এ পর্যায়ে সমালোচক শিল্পের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে তার সমালোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যান। একজন সাহিত্য-সমালোচক কিভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন সে বিষয়ে সমালোচক অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তার ‘সমালোচনার কথায়’ এভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন-‘ব্যক্তিগত ভালো লাগার ভাবোচ্ছ্বাস বা ভালো না লাগার নিরুচ্ছ্বাসে ব্যস্ত থাকবেন না; তিনি যত সম্ভব নিস্পৃহ, নিরাসক্ত ও বস্তুগত দৃষ্টিকোণ থেকে সাহিত্য বিচারে এমনভাবে প্রবৃত্ত হবেন যাতে পাঠকের সঙ্গে সাহিত্যের পরিচয়গত কোনো বাধা, কোনো আরোপিত নিয়মকানুনের বাঁধন না পড়ে।’ সে হিসেবে একজন সমালোচক তার ব্যক্তিগত সংস্কার, পান্ডিত্যের অহমিকা দ্বারা পরিচালিত হন না। তিনি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সংস্কারমুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করবেন সাহিত্যের গুণাগুণ। এই জন্য তাকে শিল্প ও সাহিত্য জগতের মূলনীতিগুলো গভীরভাবে জেনে তারপর নিজকে নিয়োজিত করতে হয় সমালোচনার কাজে। তিনি বিচক্ষণতার সঙ্গে সাহিত্যের তত্ত্ব ও নীতি সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত হয়ে যুক্তি ও বিচার-বিবেচনা দ্বারা পাঠকের মধ্যে আলোচিত সাহিত্যকর্ম নিয়ে একটি সুস্পষ্ট ধারণা সৃষ্টি করতে পারেন। তিনি আরো বলেছেন, ‘সমালোচকের মধ্যে দশটি গুণের সমাবেশ থাকতে হবে। সে দশটি গুণ হলো- ভূয়োদর্শন, আত্মসমালোচনা, সতর্কতা ও পরমতসহিষ্ণুতা, লেখকের প্রতি সহানুভূতি, মনস্তাত্ত্বিক জ্ঞান, দার্শনিক অন্তর্র্দৃষ্টি, বিশ্লেষণ নৈপুণ্য, যৌক্তিকতার প্রতি নিষ্ঠা, নিস্পৃহতা লেখকের চিত্তভূমিতে অধিষ্ঠিত হওয়ার স্বাভাবিক সামর্থ।’

কাব্য-কবিতা-গল্প-উপন্যাসে যে মৌলিকত্ব; সমালোচনা-সাহিত্যে তা নেই। তাই সমালোচক ও সমালোচনা-সাহিত্য সাহিত্যের একটি অন্যতম স্তম্ভ হলেও অনেকেই সমালোচনাকে সাহিত্যকর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ এবং সমালোচককেও সৃষ্টিশীলতার জন্য যথাযথ সম্মান দেন না। একজন কবি-প্রাবন্ধিক বা ঔপন্যাসিক যেমন তার কল্পনার নান্দনিকতা, আবেগ ভালোবাসা ও রোমান্টিকতার রূপ দিয়ে থাকেন তেমনি একজন সমালোচকও একটি সাহিত্যকর্ম এবং এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকে পাঠকের কাছে উপস্থাপন করে পাঠকের বিস্ময় সৃষ্টি করেন, তাদের আনন্দের জোগান দেন। কিন্তু সাহিত্য ও সমালোচনা সাহিত্যের মধ্যে তফাৎ হলো- সাহিত্য লেখকের সৃষ্টি হলেও সমালোচনা মূল সাহিত্যের ওপর নির্ভরশীল। তবে তিনিই আদর্শ সমালোচক যিনি লেখকের মতোই নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে পাঠকদের কাছে সুপাঠ্য করে তুলতে বা মূল রচনাকে বুঝতে সাহায্য করা ছাড়াও পাঠককে উৎসাহিত করে রচনার রসাস্বাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। মিডলটন মারির মন্তব্য থেকে এ বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়- if it gives this delight, criticism is creative, for it anables the reader to discover beauties and significances which he had not seen those which he had himself glimpsed in a new and revealing light. বিশেষ কোনো সৃজনী আবেগ-উদ্দীপনা, মন ও মননের কোনো গূঢ় বিন্যাস থেকে একটি সাহিত্যকর্মের সৃষ্টি হয়। সেই মানসিক আবেগ-উদ্দীপনার জন্মকথা তথা ক্রিয়াশীলতার রূপটি পুরোপুরি বুঝতে গেলে বা শিল্পকর্মটির রূপ ও আঙ্গিকের রহস্যটি উন্মোচন করতে গেলে একজন সতর্ক, সচেতন, বোদ্ধা পাঠকেরও প্রয়োজন। সমালোচক বাস্তবিক পক্ষে সেই বিশেষ পাঠক, যিনি শিল্পকর্মটিকে তার সামগ্রিকতায় যাচাই ও ব্যাখ্যা করার জন্য নিজকে যথাযথভাবে শিক্ষিত ও প্রস্তুত করেছেন এবং যিনি তার সহৃদয় সৃষ্টিধার্মিকতায়, তার আবেগ-মনন-কল্পনা শক্তিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পুরো সৃজন প্রক্রিয়াটিকে সাধারণ পাঠকের মনে পুনঃসৃষ্টিতে সক্ষম। এই বিবেচনায় একজন সমালোচককে হতে হয় খুবই জ্ঞানসম্পন্ন।

এখানে একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন, সমালোচনার আদি পর্ব থেকে লেখক ও সমালোচকের মধ্যে বিরোধ এবং অবিশ্বাসের এক অদৃশ্য কাঁচের দেয়াল সৃষ্টি হয়েছে। এটা আগেও যেমন ছিল এখনো তেমন আছে। এর জন্য দায়ী উভয় পক্ষই। লেখক যেমন সমালোচকের নেতিবাচক সমালোচনাকে সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেন না, তেমনি কোনো কোনো সমালোচকও সাহিত্যক্ষেত্রে বিভিন্ন রচনার ইতিবাচক দিকগুলোর চেয়ে নেতিবাচক দিকগুলোকেই প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের জ্ঞানের পরিধি ও পান্ডিত্য জাহিরে প্রবৃত্ত হন। পাশাপাশি নানা ধরনের ছিদ্র অন্বেষণ করে লেখকের লেখা নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রদান করে রচনাকে অখাদ্য-কুখাদ্য বলতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না।

সমালোচনার সংস্কৃতি যে সমাজ বা রাষ্ট্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে সে সমাজ বা রাষ্ট্রে তৈরি হয় সৃষ্টিশীল মানুষ। সমালোচনার মাধ্যমে গড়ে ওঠা একজন মানুষ পরিশীলিত, আদর্শবান উচ্চ মননশীল হতে বাধ্য। এ বিষয়টি আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতির বেলায় আরো বেশি প্রযোজ্য। তবে এক্ষেত্রে সমালোচকের দায়ও কিন্তু অনেক। একজন মেধাবী, সৃষ্টিশীল ও প্রতিভাবান সমালোচককে যেকোনো শিল্প মাধ্যম বা শিল্পীর মৌলিক প্রতিভা কতটা উৎকর্ষ মানের বা কতটা নিম্নমানের তা ব্যাখ্যা করতে হয় তাত্ত্বিকভাবে। বিশ্লেষণ করতে হয় তার অভিজ্ঞতা, দুর্বলতা, অজ্ঞতা ও সীমাবদ্ধতা এবং ভুলত্রুটিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরতে হয়। ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করতে হয় ভাষা, শিল্প-সাহিত্যের সব ধরনের নিয়ম ও শৃঙ্খলা মেনেই। তবে তা করতে হয় যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্যভাবে। এখানে আবেগ, পক্ষপাতদুষ্ট আক্রমণ বা অধিক পান্ডিত্য দেখানোর কোনো অবকাশ নেই। শুধু একজন প্রকৃত ও ন্যায়নিষ্ঠ সমালোচকের সমালোচনার মাধ্যমে আমাদের সমাজ বা রাষ্ট্রে শুদ্ধ ও পরিশীলিত সাহিত্য, সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল গড়ে উঠতে পারে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist