অনুবাদ : আহমদ বশীর

  ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

হুলিও কোর্তাজার

একজনের হাতের ওপর একটা চিঠির লাইন

টেবিলের ওপর ছুড়ে ফেলে দেওয়া চিঠি থেকে বের হয়ে এসে একটা লাইন সেই পাইনগাছের টেবিলটার পায়া ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে যায়। এখন আপনি যদি খুব নিবিষ্টভাবে তাকান তাহলে দেখবেন কাঠের মেঝে বরাবর যেতে যেতে লাইনটি দেয়ালে উঠে গেল, তারপর দেয়ালে ঝুলন্ত ধাতব এক ফ্রেমের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে, সেখানে শিল্পী বাউচারের আঁকা একটা পেইন্টিংসের সোফায় বসা মহিলার পেছনের অংশ সন্ধান করতে করতে শেষ পর্যন্ত হঠাৎ ঘর ছেড়ে ছাদ বেয়ে পালিয়ে যাচ্ছে, তারপর নিয়ন আলোর জন্য বানানো রাস্তার সারিবদ্ধ লোহার রডগুলো ধরে এগিয়ে যেতে থাকবে। প্রচন্ড ট্রাফিকের কারণে আরো অনুসরণ করা কঠিন, তবে আপনি যদি মনোনিবেশ করেন তাহলে দেখবেন, এবার লাইনটা একটা অপেক্ষমাণ বাসের চাকা ধরে ওপরে ওঠে পড়ল, যা তাকে নিয়ে গেল এক বন্দরে। সেখানে লাইনটা এক স্বর্ণকেশির নাইলন মোজার মধ্য দিয়ে বন্দরের শুল্ক কর্তৃপক্ষের প্রতিকূল এলাকা অতিক্রম করে, তারপর কিছুক্ষণ হামাগুড়ি দিয়ে বন্দরের জেটি এলাকাটা পার হয় এবং সেখানে (এখন দেখতে ভয়ংকর অসুবিধা হয়, কেবল ইঁদুররাই এটা অনুসরণ করে বন্দরে উঠতে পারে), খুব শব্দময়টার বাইনগুলোর সঙ্গে নৌকায় উঠে প্রথম শ্রেণির ডেক ধরে ছুটে যায়। তারপর খুব কষ্ট করে জাহাজের গোলাকার জানালা দিয়ে একটা কেবিনে প্রবেশ করে, যেখানে একজন দুঃখী মানুষ কমনাক মদ পান করছিল আর জাহাজের বিদায়কালীন গান শুনছিল। এবার লাইনটা লোকটার প্যান্টের কাপড় বেয়ে তার কাঁধে ওঠে, অতঃপর শেষ চেষ্টা করে লোকটার ডান হাতের তালুতে আশ্রয় নেয়, যে হাতটা ঠিক তখনই তাৎক্ষণিকভাবে একটা রিভলবারের বাঁট বন্ধ করা শুরু করেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close