রানাকুমার সিংহ

  ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

সৈয়দ মুজতবা আলীর

দেশে বিদেশে

সৈয়দ মুজতবা আলী বাংলা সাহিত্যে কালজয়ী নাম। তার হাত ধরে ভ্রমণকাহিনি বাংলা সাহিত্যে স্বতন্ত্র মর্যাদা লাভ করেছে। শুধু ভ্রমণকাহিনি নয়, সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় রেখে গেছেন তার সৃষ্টিশীলতার অক্ষয় অবদান। বাংলা সাহিত্যে সহজ, সরস, মজলিসি ঢঙে রম্যরচনার অনবদ্য রূপকার এই জাদুকরের ভাষা ও ভঙ্গির রম্যতায় অত্যন্ত সাধারণ বিষয়ও অসাধারণ হয়ে ?উঠেছে।

১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পিতার কর্মস্থল সিলেটের করিমগঞ্জে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস ছিল হবিগঞ্জে। পিতার কর্মস্থল পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের পর মুজতবা আলী শেষ পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে ভর্তি হন এবং পাঁচ বছর অধ্যয়ন করে ১৯২৬ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্বভারতীতে বহু ভাষা শেখার সুযোগ পান। ১৯৭৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মারা যান। গ্রন্থাকারে তার ত্রিশটি গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও ভ্রমণকাহিনি প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যÑ ভ্রমণকাহিনি দেশে বিদেশে (১৯৪৯), জলে ডাঙায় (১৯৬০); উপন্যাস অবিশ্বাস্য (১৯৫৪), শবনম (১৯৬০), শহরইয়ার (১৯৬৯); রম্যরচনা পঞ্চতন্ত্র (১৯৫২), ময়ূরকণ্ঠী (১৯৫২) এবং ছোটগল্প চাচা-কাহিনি (১৯৫২), টুনি মেম (১৯৬৪)। মুজতবা আলীর ডি. ফিল অভিসন্দর্ভ ঞযব ঙৎরমরহ ড়ভ কযড়লধযং ধহফ ঞযবরৎ জবষরমরড়ঁং খরভব ঞড়ফধু (১৯৩৬) বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়। তার আরেকটি অনবদ্য গ্রন্থ ‘পূর্ব-পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’।

সমালোচকদের মতে, ‘দেশে-বিদেশে’ (১৯৪৯) তার শ্রেষ্ঠ ভ্রমণসাহিত্য। আফগানিস্তান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এই বইটির উপজীব্য হয়েছে। কলকাতা থেকে কাবুলে যাত্রার ঘটনা দিয়ে এর কাহিনি শুরু হয়। এরপর তিনি কাবুলের বৈচিত্র্য ছাড়াও সেখানে তার সঙ্গে পরিচিত হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয়, কথোপকথন এবং দৈনন্দিন জীবনের কার্যকলাপ সূক্ষ্ম রসবোধের সঙ্গে তুলে ধরেছেন। অন্য কোনো ভ্রমণকাহিনি আজ পর্যন্ত এটির মতো জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেনি। হাস্যরসপূর্ণ বর্ণনার আশ্চর্য সুন্দর ও গতিময় প্রাঞ্জলতাই এর কারণ।

বহু ভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলী আঠারোটি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। এ কারণে তার রচনায় বিভিন্ন ভাষার শব্দের ব্যবহার চোখে পড়ার মতো; তেমনি ‘দেশে বিদেশে’ ভ্রমণকাহিনিতে হিন্দি, উর্দু, আরবি, ফারসি, পশতু, ইংরেজি শব্দ ছাড়াও ফরাসি এমনকি রুশ শব্দও ব্যবহার করতে ছাড়েননি! এত বৈচিত্র্যময় ভাষা ব্যবহারের পরও রচনাটি পাঠকের জন্য সুবোধ্য বিবিধ! ভাষা থেকে শ্লোক ও রূপকের যথার্থ ব্যবহার, হাস্যরস সৃষ্টিতে পারদর্শিতা এবং এর মধ্য দিয়ে গভীর জীবনবোধ ফুটিয়ে তোলার আশ্চর্য ক্ষমতা তাকে বাংলা সাহিত্যে অনন্য মর্যাদার আসনে বসিয়েছে। ভ্রমণকাহিনি হওয়া সত্ত্বেও ‘দেশে বিদেশে’ আফগানিস্তানের ইতিহাসের একটি লিখিত দলিল। তার রম্য-রসাত্মক বর্ণনা, মানুষের সঙ্গে রসালাপ, ভ্রমণের সময় বিভিন্ন স্থানের বর্ণনার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ইতিহাস ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দেখা যায়। শুধু আফগানিস্তান নয়; ভারত, ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশের ইতিহাস এবং তৎকালীন রাজনীতিক পরিপ্রেক্ষিত ও সম্পর্কও তিনি তুলে ধরেছেন। কাবুলে অবস্থানের শেষ পর্যায়ে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন শুরু হয় এবং বাচ্চায়ে সাকোর আক্রমণে বিপর্যস্ত কাবুল ত্যাগের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ‘দেশে বিদেশে’। শেষটা ছিল হৃদয়বিদারক। আবদুর রহমানের সঙ্গে লেখকের বিচ্ছেদ মুহূর্তটি দিয়েই করুণভাবে কাহিনি শেষ হয়।

এখানে উল্লেখ্য, সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশের’ একটি অন্যতম প্রধান চরিত্র আবদুর রহমান। লেখক আবদুর রহমানের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবেÑ ‘বরফাচ্ছাদিত জনাকীর্ণ কাবুলের পথে বিশাল বপু পাঠান আবদুর রহমানের পিঠে একটা বিরাট বোঁচকা; তার পিছু পিছু ক্ষীণ বপুর বাঙালি সৈয়দ মুজতবা আলী হেঁটে হেঁটে যাচ্ছেন!’ আবদুর রহমান সৈয়দ মুজতবা আলীর পাঠকের অতি পরিচিত চরিত্র।’

‘দেশে বিদেশে’ রচনার পেছনে একটা করুণ কাহিনি লুকিয়ে আছে। মুজতবা আলী বলেছেন, ‘আমি তখন অর্থাৎ ১৯৪৮ (হবে ১৯৪৭) খ্রিস্টাব্দে আমার এক অন্ধ্রদেশীয় বন্ধু বীরভদ্র রাওয়ের সঙ্গে মাদ্রাজের বেলাভূমিতে নির্মিত তস্য গৃহে কালযাপন করছি। সেখানে সমুদ্রের ওপারে চমৎকার সূর্যোদয় হয়। সূর্যাস্ত অবশ্য সমুদ্রগর্ভে হয় না। অর্থাৎ পূর্বাকাশে যে রঙে রঙে রঙিন চিত্রলেখা অঙ্কিত হয়, সেটি কারো দৃষ্টি

এড়াতে পারে না।

আমি মাঝে মাঝে তারই বর্ণনা আপন ডায়েরিতে লিখি। বীরভদ্র রাওকে মাঝে মাঝে পড়ে শোনাই। হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেইÑ সে একখান অত্যুত্তম এৎববহ খবধভ খাতা তথা ভারী সুন্দর একটা কলম এনে দিয়ে বলল, সূর্যোদয় সূর্যাস্তের স্কেচ অর্থাৎ বর্ণনা তো এঁকেছ বিস্তর, এবার একটা পূর্ণাঙ্গ কেতাব লেখো।

তখন মনে পড়ল, আমাদের পরিবারের প্রথম সন্তান, আমার বড় দাদার বড় মেয়ে জাহানারা একাধিকবার ব্যঙ্গ করে আমায় বলেছেÑ হেঁ! ছোট চাচার শুধু মুখে মুখে হাইজাম্প আর লংজাম্প। আপনি একটা বই লিখে দেখান না, আপনি কিছু একটা করতে পারেন?

আমার তখন বড্ডই গোশশা হতো। তদুপরি অর্থ কৃচ্ছ্রতা। তখন গত্যন্তর না পেয়ে লিখলুম, ‘দেশে বিদেশে’। সেইটি নিয়ে চললুম সুদূর মাদ্রাজ থেকে সিলেটে। বইখানা জাহানারাকে নিজেই পড়ে শোনাব বলে।

ওই মেয়েটিকে আমি বড়ই ভালোবাসতাম। গিয়ে দেখি, জাহানারা সিলেটে নেই। তার স্বামী কক্সবাজারে বদলি হয়েছে বলে দুই ছেলে আর এক পাতানো ভাইসহ চাটগাঁ থেকে জাহাজ ধরেছে।

দুই দিন পর খবর এলো, জাহাজডুবিতে সবাই গেছে।

এই শোক আমার কলিজায় দগদগে ঘা হয়ে আছে। বইখানা তাই জান্নাতবাসিনী জাহানারার স্মরণে উৎসর্গিত হয়েছে।

পরে কথা প্রসঙ্গে তিনি ‘জাহানারা’ ও ‘দেশে বিদেশে’ প্রসঙ্গে দীর্ঘ স্মৃতিচারণ করেছিলেন গোলাম মোস্তাকীমের নিকট, সেই আলাপের কিছু অংশ এ রকমÑ

‘সাহিত্যের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে তার সঙ্গে আমার আলাপ-আলোচনা হতো। তার সঙ্গে তর্ক করে আমি কখনোই জিততে পারিনি। আমি সারা দুনিয়ায় দেশি-বিদেশি অনেক বুদ্ধিমতী মহিলা দেখেছি। কিন্তু তোমাকে আমি হলফ করে বলতে পারি, জাহানারার মতো বুদ্ধিমতী মহিলা আমি জীবনে দুটি দেখিনি। ওর যদি অল্প বয়সে বিয়ে না হতো এবং তার যদি ওই রকম অকালমৃত্যু না হতো; তাহলে সে জীবনে অনেক কিছুই করতে পারত। আমার ভাইবোনদের মধ্যে কেউ কেউ বললেন, সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও শুধু দুর্ভাগ্যের কারণে জাহানারা কোনো কীর্তি রেখে যেতে পারল না। সবাই হয়তো এক দিন তাকে ভুলে যাবে। কাজেই ‘দেশে বিদেশে’ জাহানারাকে উৎসর্গ করলে এর পাঠক-পাঠিকারা অন্তত জাহানারাকে মনে রাখবে। কথাটা আমার মনে খুব লাগল। ‘দেশে বিদেশে’ জাহানারাকে উৎসর্গ করতে আমি সম্মতি দিলাম। কিন্তু মোটের ওপর ইট ওয়াজ আ ফ্যামিলি ডিসিশন। তবে আমার বলতে কোনো দ্বিধা কিংবা সংকোচ নেই যে, ‘দেশে বিদেশে’ লেখার পেছনে জাহানারা আমাকে খুব প্রেরণা জুগিয়েছিল। কাজেই জাহানারা বেঁচে থাকলে বইটা লিখেই আমি দেশে ছুটে গিয়ে তাকে বলতাম, ‘এই দেখ আমি একটা বই লিখেছি। এবার দেখি তুই কী বলিস?’ কিন্তু জাহানারার অকালমৃত্যু আমাকে সে সুযোগ দিল না। জীবিতাবস্থায় আমি সব সময় তার কাছে হারতাম, মরেও সে আমাকে হারিয়ে দিয়ে গেল। এবং আমার বিশ্বাস, ছোট চাচার বই ছাপা হতে দেখলে সে খুবই খুশি হতো।

‘দেশে বিদেশে’ প্রকাশের পেছনে আরেকজনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তিনি কানাইলাল সরকার। সৈয়দ মুজতবা আলীর কলকাতার বাসায় তখন আড্ডা বসত। সেখানেই তার পান্ডুলিপি বন্ধুদের পড়ে শোনাতেন। ব্যতিক্রমী রচনাটিতে বিমুগ্ধ কানাইলাল সরকার পান্ডুলিপিটি এনে সাগরময় ঘোষের হাতে দেন, সঙ্গে এটাও অনুরোধ করেনÑ যাতে এটি ‘দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়।

এ সম্বন্ধে সাগরময় ঘোষ একটা চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন, ‘আমি যখন তন্ময় হয়ে সদ্য হাতে আসা পান্ডুলিপিটা পড়ছি, তখন প্রাত্যহিক বন্ধুরা একে একে এসে জুটলেন।

রাবীন্দ্রিক ধাঁচের হস্তাক্ষরে লেখা পান্ডুলিপির ওপর সাগর বাবুর মুগ্ধ দৃষ্টি লক্ষ্য করে, বৈঠকের গাল্পিক সাহিত্যিকরা বিরক্ত হয়ে বললেন, রাবীন্দ্রিক ধাঁচের হাতের লেখার যে বিরাট পান্ডুলিপির ওপরে আপনি এতক্ষণ হুমড়ি খেয়ে পড়ছিলেন, সে বস্তুটি কী, আমরা জানতে পারি?

ভ্রমণকাহিনি

আমার কথা শুনে সব্যসাচী-সাহিত্যিক, গাল্পিক সাহিত্যিককে একটু ভরসা দেওয়ার সুরে বললেন, যাক, বেঁচে গেলেন। উপন্যাস তো নয়। উপন্যাস হলেই ভয়Ñ আবার একজন প্রতিদ্বন্দ্বী দেখা দিল।

আমি বললাম, নাইবা হলো উপন্যাস। এ লেখার জাতি-পাঁতি স্বতন্ত্র। উপন্যাস এর ধারে

কাছে লাগে না।

দশ জোড়া বড় বড় চোখে এক রাশ বিস্ময় ভরা প্রশ্ন জেগে উঠলÑ লেখকটি কে?

আপনারা চিনবেন না। সৈয়দদা। ডক্টর সৈয়দ মুজতবা আলী। শান্তিনিকেতনের প্রাক্তন ছাত্র। সেই সুবাধে আমার সৈয়দদা। সব্যসাচী লেখক বললেন, তাহলে তো আর কিছু বলা যাবে না। একে রাবীন্দ্রিক হস্তাক্ষর তদুপরি শান্তিনিকেতন, এ লেখা তো অবশ্য প্রকাশিতব্য।

আমি বললাম, আগামী সপ্তাহ থেকেই লেখাটি প্রকাশিত হবে। আপনারাই তখন বিচার করবেন, লেখাটি প্রকাশিতব্য কি না। তবে এটুকু বলে রাখছিÑ এই এক বই লিখেই ইনি বাংলা সাহিত্যের পাঠক চিত্ত জয় করে নেবেন।

সাপ্তাহিক ‘দেশ’-এ ১৩ মার্চ ১৯৪৮ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ মোট আঠাশ কিস্তিতে ‘দেশে বিদেশে’ প্রকাশিত হয়ে ইতিহাস তৈরি করল। কানাইলাল সরকারের অনুরোধে সৈয়দ মুজতবা আলী ‘নিউ এজ পাবলিশার্স লিমিটেড’কে বইটি প্রকাশের অনুমতি দেন। বৈশাখ ১৩৫৬ বা এপ্রিল ১৯৪৯ সালে প্রকাশ হয় ‘দেশে বিদেশে’। কানাইবাবুর ঋণ স্বীকার করা ছাড়াও মুজতবা আলী আরো দুজনের কাছে ঋণ স্বীকার করেছিলেন প্রকাশিত বইয়ে। একজন কলাভবনের তৎকালীন সহকারী অধ্যক্ষ শিল্পী বিনায়ক রাও মসোজী। যিনি বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছিলেন। অপরজন রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ পুলিন বিহারী সেন। তিনি ‘অশেষ যতেœর সঙ্গে প্রুফ দেখেছিলেন।’ ১৯৫০ সালে ‘দেশে বিদেশে’ বাংলা ভাষায় প্রকাশিত সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সৈয়দ মুজতবা আলীকে নরসিংহদাস পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে।

‘দেশে বিদেশে’ একটি সার্থক ভ্রমণকাহিনি। এ বইটির পরতে পরতে যে রসবোধ আমরা গ্রহণ করি, তার অন্তরালে গভীর জীবনবোধ পরিলক্ষিত হয়। আমরা জাহানারার প্রতি লেখকের ভালোবাসা ও জাহানারার করুণ পরিণতিতে মুজতবা আলীর হাহাকার থেকে তাকে চরম মানবতাবোধ সম্পন্ন একজন মানুষ হিসেবে দেখতে পাই। মানুষ-জীবন-দেশ সম্পর্কে তার ধারণা ও মূল্যায়ন গোলাম মোস্তাকিম প্রণীত ‘সৈয়দ মুজতবা আলী : প্রসঙ্গ, অপ্রসঙ্গ’ গ্রন্থে জানতে পারি। তিনি তার সহজাত রসবোধ দিয়েই মানুষ সম্পর্কে ধারণার প্রকাশ ঘটাতেন।

সৈয়দ মুজতবা আলী বাংলা সাহিত্যকে আপন আলোয় উজ্জ্বল করেছেন। যে আলো বাতিঘরের মতো পথ দেখাবে অনন্তকালÑ সেই প্রত্যাশা করতেই পারি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close