নূর কামরুন নাহার

  ২৩ আগস্ট, ২০১৯

জীবন যেখানে জয়ী

রিজিয়া রহমান এই নামটির সঙ্গে পরিচিত হই ১৯৮৪ সালে, মুক্তধারার স্টল থেকে কিনে আনা উপন্যাস ‘রক্তের অক্ষর’-এর মাধ্যমে। রক্তের অক্ষর পড়ে বোঝা ও পুরো অনুভব করার বয়স হয়নি তখন, তবু ‘রক্তের অক্ষর’ হৃদয়ের অক্ষর হয়ে এমনভাবে গেঁথে গেল যে, রিজিয়া রহমানের ঘোর হতে আর বের হতে পারিনি।

রিজিয়া রহমানের লেখার প্রধান উপজীব্য মানুষের জীবন, চারপাশের মানুষ, মানুষের কঠিন সংগ্রাম, মানব ইতিহাস ও বিবর্তন। তিনি দরদ দিয়ে এঁকেছেন মানুষের অন্তর্জগৎ আর বেঁচে থাকার সংগ্রাম। ‘রক্তের অক্ষর’ উপন্যাস প্রতিবাদী ইয়াসমিন এবং বারবণিতাদের জীবনের গল্প। নায়িকা ইয়াসমিনের জীবন, বারবণিতাদের জীবন, জীবনের দুঃখ-বেদনা, অন্তর্দ্বন্দ্ব, অনিশ্চয়তা আর অস্তিত্ব সংকট এ উপন্যাসের মূল উপজীব্য। অন্ধগলির অন্ধকার, বেঁচে থাকার অভিশাপের পাশাপাশি উপন্যাসে দেখা যায় মেকী সমাজ, সমাজের মুখোশধারী আর মুনাফালোভী মানুষ। কিন্তু এই অন্ধকার, এই সমাজচ্যুত, সমাজ অচ্ছুত জনজীবন আমাদের হাত ধরে আরো অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায় না, অন্ধকারের শরীর ছুঁয়ে থাকে মানবিকতা, রক্ত-মাংসের মানুষের শারীরিক যন্ত্রণা আর হৃদয়ের করুণ উপলব্ধি। অন্ধকারকেও রিজিয়া রহমান উপস্থাপন করেন মানবিক করে। নোংরা গলির ভেতর আমরা দেখি মানবিকতার উত্থান। দেখি জীবনের গভীর দর্শন, প্রতিবাদী জনতা। আমরা গভীরভাবে উপলব্ধি করি এই মানুষগুলোর বেদনা, তাদের বেঁচে থাকার গ্লানি ও গৌরব। ইয়াসমিনকে আমাদের বারবণিতা মনে হয় না, তার মানবিকতা, জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি, দর্শন মনে শ্রদ্ধা আনে, বোধকে আন্দোলিত করে, তার প্রতিবাদী চরিত্র আমাদের হাতকে মুষ্টিবদ্ধ করে। এই জীবনগুলো ধুঁকে ধুঁকে মরে। এই জীবনগুলো পুতিগন্ধময়, যৌবন ক্ষয়ে গেলে এরা গলির মোড়ে গলিত বস্তুর মতো পড়ে থাকে কিন্তু তারা পরাজিত নয়, মানবিক বোধে উজ্জ্বল। তারা একে অপরের দুঃখে সহানুভূতি প্রকাশ করে, এই নোংরা সমাজের নোংরা মানুষগুলোকে করুণা করে। ব্যক্তি ইয়াসমিনকে হত্যা করা যায় কিন্তু ইয়াসমিনদের বোধ আর জাগরণকে হত্যা করা যায় না। রক্তের অক্ষর পড়তে পড়তে মনে পড়ে হেমিংওয়ের ওল্ড ম্যান অ্যান্ড সি উপন্যাসের সেই বিখ্যাত লাইন ‘A man can be destroyed but not defeated’

রিজিয়া রহমানের লেখার একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে অন্ত্যজ মানুষ, তাদের যাপিত জীবন, আনন্দ বেদনা, হিংস্রতা, ক্লেশ ও জীবন সংগ্রাম। বস্তির মানুষের গল্প নিয়ে তার প্রথম উপন্যাস ‘ঘর ভাঙা ঘর’। বস্তির মানুষদের তিনি কাছ থেকে দেখেছেন, দেখেছেন তাদের জীবনের ক্লেদ ক্লান্তি, স্বপ্ন আর স্বপ্ন ভাঙার বেদনা। সেই ক্লেদাক্ত জীবন যন্ত্রণার গল্পই তুলে এনেছেন ‘ঘর ভাঙা ঘর’ উপন্যাসে। সাঁওতালদের নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘একাল চিরকাল’। সাঁওতালদেরও তিনি কাছ থেকে দেখার চেষ্টা করেছেন। ‘একাল চিরকাল’ উপন্যাসে অন্ত্যজ মানুষের জীবনের চিত্র আঁকতে গিয়ে তিনি দেখিয়েছেন তাদের বিবর্তন। এই মানুষগুলো বারবার বদলেছে তাদের পেশা। শিকারি থেকে কৃষক তারপর আবার কৃষক থেকে খনির শ্রমিক। এই বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সাঁওতালদের সংশয়, কুসংস্কার, হিংসা, রক্তারক্তি, সংস্কৃতি আর বেঁচে থাকার কঠিন সংগ্রামও তুলে এনেছেন অবিকল। তবে মূল বিষয় হলো, এই মানুষগুলো জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতে শিকারি থেকে শ্রমজীবী মানুষে পরিণত হয় কিন্তু তার পরও তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। তারা নতজানু থাকে একমুঠো ভাতের চাহিদার কাছেই। এভাবেই বোধহয় লেখা হয় বঞ্চিত মানুষের ইতিহাস অথবা বোধহয় এটাই বঞ্চিত মানুষের ইতিহাস-

‘প্রাগৈতিহাসিক অন্ধকারের নীলাভ কুয়াশা ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে মানুষ হড়। হড়টা সেই নীলাভ অন্ধকারের পবিত্রতা দুই হাতের মুঠোয় ভরে ছড়িয়ে দেয় চারিদিকে। আর অনেক দূর থেকে শংখিনী সাপের আঁকাবাঁকা দেহভঙ্গির কুটিলতা নিয়ে পথ খুঁজে খুঁজে এগিয়ে আসে সভ্যতা।’ (একাল চিরকাল, ১৯৮৪, পৃষ্ঠা-৯)

বঞ্চিত মানুষের ইতিহাস ক্ষমতা দখলের নয়, পেট পুরে খাওয়ার স্বপ্ন দেখার ইতিহাস। ঠিক যেমনটি দেখা যায় সৈয়দ মুস্তফা সিরাজের ‘গোঘœ’ গল্পে। রাঢ়ের মানুষের কাছে ভাতের ঘ্রাণকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বলে মনে হয়। ঠিক যেমন তার ‘ইজ্জত’ গল্পে একমুঠো ভাতের জন্য ক্ষুধার্ত হালিমনের আর্তি শোনা যায়Ñ

ঘোলাটে পানি আর সিসে রঙের আকাশের চেহারা ভুলে হালিমন ভাবল সানকি ভরা ঝরঝরে ফুরফুরে রৌদ্রোজ্জ্বল এক সানকি ভাতের কথা। সুন্দর সাদা রঙের ভাত। সোনা রঙের ডাল। আর কি না, আর কিছু না। এক থালা ভাত আর ডাল, এর চাইতে বেশি বড় কিছু বুঝি এই মুহূর্তে হালিমনের স্বপ্নে

আসতে পারে না।

ভাতের এই সর্বগ্রাসী চাহিদা একসময় মানুষকে নিয়ে যায় অবক্ষয়ের শেষপ্রান্তে। যে হালিমন হানাদারের কাছ থেকে ইজ্জত বাঁচাতে আগুনে ঝাঁপ দিয়েছিল, সেই হালিমনই সমশের ঠিকাদারের কাছে আর বাজারে একটা ঘর নেবার সিদ্ধান্ত নেয়। বানের জলে যখন ভেসে যায় তার ইজ্জত রক্ষার এক টুকরো ছেঁড়া শাড়ি তখন ভেসে যায় তার বোধও। একমুঠো ভাতের প্রত্যাশার কাছে পরাজিত হয় নৈতিকতাÑ

‘হালিমন এক পলক দাঁড়াল। না, গামছায় তার আর দরকার নেই। এই বারে পানি তার একমাত্র শেষ বস্ত্রখ- নয়, বুঝি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তার ইজ্জত। এখন আছে শুধু ক্ষুধা। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় কথা হলো, তার পেটের জ্বালার নিবৃত্তি চাই। কাঁচার শেষ মাথায় সেই ঠিকাদারের বাড়ি। সেখানে আছে কাঠের পাটাতন করা মজবুত ঘর আর মজবুত করা চালের ভাতের

আশ্বাস।’ (ইজ্জত)।

রিজিয়া রহমান শেকড় সন্ধানী লেখক। ইতিহাসের প্রতি নিষ্ঠ, মমত্ববোধ, মানুষের জীবনাচরণের প্রতি গভীর পর্যবেক্ষণ তার লেখাকে দিয়েছে ভিন্নতর মাত্রা। ‘বং থেকে বাংলা’ উপন্যাসে খুঁড়ে এনেছেন বাঙালির ইতিহাস। গভীর অভিজ্ঞা, শ্রম, অধ্যবসায়, ইতিহাসজ্ঞান এবং শৈল্পিক চিন্তার এক অপূর্ব সমন্বয় ‘বং থেকে বাংলা’ উপন্যাসটি। বাংলা কথাসাহিত্যের এক উজ্জ্বল শিল্পকর্ম। ইতিহাস শুধু এখানে নিরেট ইতিহাস হিসেবে উপস্থাপিত হয়নি, ইতিহাস পরিণত হয়েছে শিল্পে এবং শিল্পসৃষ্টিতে ইতিহাসের পাতায় মিশেছে কল্পনা আর স্বপ্নের বুনন। ইতিহাস ও শেকড় খুঁড়ে চলা এ উপন্যাসেও রিজিয়া রহমান তুলে এনেছেন হাজার বছরের অবহেলিত, অধিকার বঞ্চিত মানুষের জীবনাচরণ তাদের বেঁচে থাকা আর বাঙালি জাতি গঠনের অতীত ইতিহাস।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেনÑ ‘বাংলাদেশের জাতিগঠন ও ভাষার বিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে ‘বং থেকে বাংলা’ উপন্যাসের সৃষ্টি।... আড়াই হাজার বছর আগে বং গোত্র থেকে শুরু করে উনিশশ একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধের বিজয়কাল পর্যন্ত দীর্ঘ পরিব্যাপ্তির মধ্যে এ উপন্যাসের কাহিনি বিন্যাস করা হয়েছে।... বাংলার সিংহাসন চিরকাল বিদেশি ক্ষমতালিপ্সু এবং সম্পদলোভীদের দ্বারা শাসিত হয়েছে। বাংলার সাধারণ মানুষ চিরকালই অবহেলিত উপেক্ষিত এবং উৎপীড়িত। জাতি হিসেবে সামাজিক অর্থনৈতিক গণতান্ত্রিক মর্যাদা তারা কোনো দিন পায়নি। ‘বং থেকে বাংলা’ যেমন একদিকে ইতিহাসের সঙ্গে সেই কথাটিই প্রকাশ করেছে, তেমনি কি করে সুদীর্ঘ দিনে একটি জাতি স্বাধীনতার মর্যাদায় এসে দাঁড়িয়েছে তারই চিত্রণের চেষ্টা করেছে।’ (বং থেকে বাংলা, ১৯৭৮, ঢাকা,

ভূমিকা, পৃষ্ঠা ২২)

বেলুচিস্তানের স্বাধীনচেতা মানুষ, তাদের দেশপ্রেম, স্বজাত্যবোধ, গৌরব, সাহসের কাহিনি নিয়ে ‘শিলায় শিলায় আগুন’ উপন্যাস। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিলুচিস্তানের বিদ্রোহ ও কালাতের যুদ্ধের পটভূমিতে রচিত এ উপন্যাস। এখানেও আমরা দেখি সামাজিক রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার অধিকারহীন আর শোষিত মানুষের হৃদয়ের আর্তনাদ। বেলুচিস্তানের কাহিনিকে কেন্দ্র উপন্যাসটি লিখলেও তিনি বিশ্বব্যাপী শোষিত মানুষ, তাদের মুক্তির সংগ্রাম, স্বাধীনতার স্বপ্ন আর সাহসকে তুলে এনেছেন শিল্পীর অন্তর্দৃষ্টি আর শৈল্পিক ব্যঞ্জনায়।

বঞ্চিত আর অন্ত্যজ মানুষের আর্তি তার গল্প, উপন্যাসের প্রধান অনুষঙ্গ হলেও রিজিয়া রহমান সুন্দরের প্রত্যাশী আর আশাবাদী মানুষ। ২০০৪ সালে তিনি লিখেন ‘বাঘবন্দি’ উপন্যাস। সুন্দরবনের গ্রামাঞ্চলে একটি বাঘ চলে আসা নিয়ে এ উপন্যাসের কাহিনি। বাঘটিকে একেকজন একেকভাবে বর্ণনা করে। উপন্যাসে ছোট একটি মেয়ে আছে। ওর বাবাকে বাঘ ধরে নিয়ে যায়। ওর বোনকেও বাঘ ধরে নিয়ে যায়। মূলত বোনটি অপহৃত হয় এবং পরে বানিশান্তায় গিয়ে বারবণিতা হয়ে যায়। কেউ কেউ তাকে বলে, যা তোর বোনের কাছে যা, ছিনাল হবি। সেভাবে ছিনাল হলে হয়তো খাবার পাওয়া যায়। সে মাকে বলে ‘চলো আমরা ছিনাল হয়ে যাই’।

সে রাতে বাইরে বসে কাঁদতে থাকে। চাঁদের আলোয় একটা রেখাকে তার কাছে মনে হয় বাঘ, সে ভয় পায় না, বলতে থাকে আমি ছিনাল হতে চেয়েছিলাম। আর মা আমাকে মেরেছে। তুই আমাকে খেয়ে ফেল। মা রাতে উঠে দেখে মেয়ে বাঘের সঙ্গে খেলছে আর কথা বলছে। তখন সে লোকজনকে জাগিয়ে চিৎকার করে বলে ‘আমার ফুলরানী বাঘকে বন্দি করেছে’।

নিরাপত্তাহীন মানুষ প্রতিনিয়ত ভয়ের মধ্যে বাস করছে। নিঃস্বতা ভয়, ক্ষুধা, মৌলবাদ এসব নিয়ে মানুষ যখন অস্তিত্ব সংকটহীনতায় ভোগে, তখন এ বিষয়গুলোই মানুষকে নানাভাবে তাড়িত করে; মানুষের কাছে সেটাই বাঘ হয়ে এসে খেয়ে ফেলার ভয় দেখায় মানুষ ভীত হয়ে পড়ে। ‘বাঘ’ প্রতীকের আড়ালে মানুষের এই শঙ্কা এই ভয়কেই অঙ্কিত করা হয়েছে এই উপন্যাসে। কিন্তু মানুষ সব সময়ই উত্তরণ চায়। দুঃস্বপ্ন নিয়ে পড়ে থাকতে চায় না। এই দুঃসময়কে অতিক্রম করার চেষ্টা ও স্বপ্নকেও তিনি রেখেছেন এই ‘বাঘবন্দি’ উপন্যাসে। কোনো একজন ফুলরানী এসে বাঘকে বন্দি করে বা কোনো একজন এসে বাঘবন্দি করবেই এই আশায় উজ্জীবিত থাকে মানুষ। স্বপ্নই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। দুঃশাসন, যন্ত্রণা, নিরাপত্তাহীনতা থেকে এভাবেই মানুষ মুক্তির দিন গোনে। মুক্তির পথ বের করে।

মূলত রিজিয়া রহমান জীবনের কথাকার। জীবনের গল্পই তিনি বলে গেছেন কখনো ইতিহাসের মাটি খুঁড়ে, কখনো প্রান্তিক মানুষের অন্তর্লীন বেদনা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, আবার কখনো নিপীড়িত মানুষের জেগে ওঠার গল্পের। ‘রক্তের অক্ষর’

উপন্যাসের নায়িকা ইয়াসমিনের রক্ত মোছা ছুরির উল্টোপিঠে লেখা ছিল রুশোর সেই বিখ্যাত উক্তি ‘Man is born free and everywhere he is in chains.’ মানুষের এই বন্দিত্ব, অসহায়ত্ব ক্ষুদ্রত্ব, মহত্ত্ব আর ইতিহাসের নির্মোহ উন্মোচন মূলত আর কিছুই নয়, জীবন নামক ধোঁয়াশা আর মানবজীবনের সেই শ্বাশত সত্য বেঁচে থাকার ক্লান্তিকর চেষ্টা। সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় জীবনের অনেকগুলো ক্রান্তিকাল দেখেছেন তিনি। দেখেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গা, দেশভাগ, রাজনৈতিক টানাপড়েন। সমাজ, সাহিত্য এবং রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ সময়গুলোর সাক্ষী তিনি। বহমান সময়ের অভিজ্ঞতা, ইতিহাসপ্রিয়তা, ব্যাপক পড়াশোনা, মানুষের জীবনপাঠের অভিজ্ঞতা তার সৃষ্টিকে করেছে অতলস্পর্শী, মানবিক ও লক্ষ্যভেদী। রিজিয়া রহমানের গল্প উপন্যাস প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা বলে, মানুষের কথা বলে, জীবনের কথা বলে আর সমকাল ও মহাকালকে ধারণ করে সেগুলো হয়ে উঠে আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দলিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close