ওমর ফারুক মজুমদার
ইতিহাসের মিশেলে ভারত ভ্রমণের কাহিনি
প্রতিবেশী দেশ ভারত সম্পর্কে কমবেশি কৌতূহল আছে প্রায় সবারই। তিন দিক থেকে আমাদেরকে ঘিরে রাখা দেশটির আয়তন এতটাই বিশাল যে, কারো পক্ষে পুরো দেশ ঘুরে দেখা প্রায় অসম্ভব। ‘ইতিহাসের বোবাকান্না’ বইটিতে গোটা ভারত ভ্রমণের বিবরণ না থাকলেও আছে এর ঐতিহাসিক কিছু বিবরণ। প্রায় হাজার বছরের মুসলিম শাসনে আলোকিত ভারতের সোনালি অতীত নিয়ে কলম ধরেছেন জহির উদ্দিন বাবর। তিনি একটি জাতীয় দৈনিকের বার্তা বিভাগে
কাজ করেন।
লেখক ইতিহাসের মিশেলে এক সপ্তাহ ভারত সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন ‘ইতিহাসের বোবাকান্না’ বইটিতে। সম্প্রতি প্রকাশিত বইটিতে উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, রাজধানী দিল্লি, তাজমহলের শহর আগ্রা এবং মুসলিম অধ্যুষিত উত্তর প্রদেশের দেওবন্দ-থানাভবনসহ ঐতিহাসিক জায়গাগুলোর বিবরণ। পাঁচটি অধ্যায়ে লেখা বইটিতে ভ্রমণ বৃত্তান্তের পাশাপাশি উঠে এসেছে ইতিহাসের নানা বাক, সভ্যতা-সংস্কৃতি রকমফের এবং প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে নানা দৃশ্যের জীবন্ত উপস্থাপনা।
বইটির নামকরণের কারণ সম্পর্কে জহির উদ্দিন বাবর লিখেছেন, ‘ভারতবর্ষ প্রায় হাজার বছর শাসন করেছেন মুসলমানরা। বিশাল এ ভূখ-ে মুসলিম ঐতিহ্যের স্মৃতিচিহ্নগুলো আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তবে এর আড়ালে চাপা পড়ে আছে শাসক জাতি কীভাবে শোষিত জাতিতে পরিণত হয়েছে এর করুণগাথা। ইতিহাসের সেই বোবাকান্নাগুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে বইটিতে।’
অনেকগুলো গ্রন্থের লেখক জহির উদ্দিন বাবরের লেখা ইতিহাসের বোবাকান্নায় পাঠক একদিকে পাবেন ভ্রমণের স্বাদ, অন্যদিকে ইতিহাসের প্রাঞ্জল বর্ণনা। লেখকের ঝরঝরে ভাষা, বাক্যের কারুকার্য এবং সাবলীল উপস্থাপনা পাঠককে টেনে নেওয়ার মতো। ইতিহাস ও ভ্রমণ কাহিনির মিশেলে বইটি হয়ে ওঠেছে অনবদ্য। ঝকঝকে প্রচ্ছদে মোড়ানো, বোর্ড বাঁধাই, ১৪৪ পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে বাংলাবাজারের ইসলামী টাওয়ারের রাহনুমা প্রকাশনী। বইটি পাওয়া যাচ্ছে রকমারি ডকটকমসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপে।
"