দ্বীপ সরকার

  ০৪ জানুয়ারি, ২০১৯

ডারউইনের মুরিদ হবো

একদা ডারউইনকে ছুঁঁতে গেলামÑ মুরিদ হবো বলে। তিনি বললেন, বয়স হয়নি। আরো দশ বছর পর।

দশ বছর পর পুনশ্চ গেলাম। তিনি ডান হাত এগিয়ে দিলেন। আমি স্পর্শ করলাম। চোখ এগিয়ে দিলেন। আমি চোখকে অবনত করলাম থুঁতনি বরাবর

অদ্ভুত ডারইউন! ডান হাত মেলতেই নেমে পড়ল বিবর্তনের আয়না। চোখ খুলতেই প্রতিশ্রুতিলব্ধ গালাপাগোসের লম্বালম্বি ঝুলন্ত। রকমারি হরিয়াল তার দৃষ্টির কিনারে উড়ছেÑ প্রাণীজন্মের নাটাই উঁচিয়ে। তালুতে প্রাকৃতিক আবিষ্কারের রমরমা রেখাচিত্র। পথভুলো নিশানার সুড়–ঙ্গ। চোয়ালের কাছে নাটকীয় উদ্ভিদের আনাগোনা

অতঃপর আমি ডারউইনের মুরিদ হয়ে গেলাম। আমার কলমে বিবর্তনের আয়না ভেসে ওঠে। ভেসে ওঠে যান্ত্রিক শহর, কালোবোধীয় রাস্তার কোলাজ। চোখে তকমা লাগানো লেন্স

কিছুদিন পর ডারইউন আমার থেকে আশীর্বাদ তুলে নিলেন। আমি তার চিন্তার নরম শাবকও হতে পারিনি। অধ্যবসায়হীন মরুচর্চার মতন শুধু বালিয়াড়ি লিখেছিÑ এটাই নাকি দোষ। প্রকৃতি লিখিনি, ভ্রমণ লিখিনি, আকাশ লিখিনি

আমি মুরিদহীন টুপি সর্বস্ব কবি। অযথা পদকের স্বপ্নে বিভোর থাকি। ডারউইন আমাকে আশীর্বাদ করলে পেয়েও যেতাম যোজন স্বপ্নের চিকচিক-

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close