কাউসার মাহমুদ

  ০২ নভেম্বর, ২০১৮

হেমন্তে

একদিন খোলসের অবয়ব ছেড়ে বেরিয়ে পড়ি

মরা রোদ শুকিয়ে থাকে ঋতুর গভীর কাখে

বিরান মাঠের পরে ছায়া হয়ে ভাসে ঘুমন্ত বিকেল

ধানের শীষের সাথে একফোঁটা হিম

বিষণœ সময়ের পর ‘হেমন্ত এলে’

একদিন খোলসের অবয়ব ছেড়ে বেরিয়ে পড়ি মনে মনে

কথা বলি-

ঘন কুয়াশার সাথে, ডুবে যাই ভোরে

কুপির আলোয় জেগে থাকি রাতভর

দূরে, খুব দূরে। মাঠে মাঠে কারা কোলাহল করে

হেমন্ত এলে, আমার উঠোন হয়ে কারা চলে গেছে।

ঘরে ঘরে,

তামার তৈজস থেকে গড়িয়ে পড়ে নতুন হলুদ

কাঁচির আগায় লেগে থাকা মাটি দেখে মনে হয়

হেমন্তে আমাদের বাবারা কৃষক হয়ে ওঠেছিলেন

এবং পরিপূর্ণ স্বামী

যারা প্রতি সন্ধায় ঠান্ডা বিকেল জড়িয়ে ঘরে ফিরতেন

মায়েদের নথে লেগে থাকতো হেমন্ত শীতল গন্ধ।

ধীরে ধীরে,

রাতের ক্রমাগত নৈঃশব্দ্য কেটে ভেসে আসতো কুকুরের ডাক

বাঁশঝাড় কেঁপে উড়ে যেত ঘুমন্ত সারসের ঝাঁক

ক্রমে, ধ্যানস্থ হয়ে যেত চারপাশ

ধানের আগায় একফোঁটা শিশিরেই থেমে যেতÑ

আগত দিনের আলস্য আলাপ।

একদিন!

দীর্ঘতম একটি হেমন্ত রাত্রির মৃত্যু হলো কুঁঁজো হয়ে উন্মুখ

যেদিন কুয়াশার ভারে নিভু নিভু আলোয় জেগেছিল সূর্যের মুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close