সুশান্ত কুমার রায়

  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

লোকসংগীত ভাওয়াইয়ার আদি নিদর্শন

সংগীতই জ্ঞান। চৌষট্টি প্রকার কলাবিদ্যার মধ্যে সংগীতের স্থান সবার শীর্ষে। আর বাংলা সংগীতের ধারা সুদূর প্রাচীনকাল থেকেই। লোকসংগীতের অমীয় সাগরে প্রাণবন্ত ও প্রবাহমান একটি ধারা ভাওয়াইয়া, যা আজও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এবং ভারতের কোচবিহার, আসাম, জলপাইগুড়ি জেলার বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অন্তরের গান।

ভাব শব্দের আভিধানিক অর্থ প্রেম-প্রীতি, প্রণয়-প্রকৃতি, ভক্তি, আবেগ, স্বভাব, ধরন, মর্ম, চিন্তা প্রভৃতি। ভাব শব্দের সম্পৃক্ততা অর্থে ইয়া প্রত্যয় যুক্ত করে ভাব+ইয়া > ভাওয়াইয়া শব্দের উৎপত্তি। অর্থাৎ ভাবের যে গান তা ভাওয়াইয়া। সংগীত গবেষকদের মতে, ভারতবর্ষে বৈদিক যুগে সংগীতচর্চার ধারাবাহিক ইতিহাস পাওয়া যায়। অন্যদিকে, বাংলা সাহিত্যের সূচনালগ্ন থেকেই বাংলা সংগীতচর্চার ধারাবাহিক ইতিহাস পাওয়া যায়, যার প্রকৃষ্ট প্রমাণ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নির্দশন চর্যাপদ। চর্যাপদ মূলত বাংলা সংগীতেরও আদি নিদর্শন।

গবেষকরা মনে করেন, চর্যাপদে সংকলিত পদগুলো রচনাকালের বহু পূর্ব থেকেই বাঙালির সংগীত ও সাহিত্যচর্চার সূচনা। এ কথা বলা যায়, মূলত সংগীতের মধ্য দিয়েই বাঙালির প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে। আর বাঙালির গান গাওয়ার শুরু থেকেই ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীত ভাওয়াইয়ার যাত্রা। আঞ্চলিক ভাষায় রচিত ভাওয়াইয়া গান মূলত নারী, নদী ও প্রকৃতি নির্ভর। সাধারণ পেশাজীবী মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আবেগ-অনুভূতি, নারী মনে প্রেমের আকুতি, প্রেম-ভালবাসা, বিরহ-বেদনা প্রভৃতি ভাওয়াইয়া গানের বিষয়বস্তু। ভাওয়াইয়া গানের সঙ্গে বিশেষ ছন্দে বাজানো হয় দোতরা, তবলা, সারিন্দা, ঢোল, মন্দিরা ও বাঁশি। এ বাদ্যযন্ত্রগুলোকে সংগত করে সংগীতের এক মধুময় মূর্ছনা ও আবেগ সৃষ্টি করা হয়। উত্তরাঞ্চলের নদী, নারী, প্রকৃতি ও সহজ সরল মানুষের ভাব, ভাবনা ও ভাষা নিয়ে রচিত এ অঞ্চলের লোকসংগীতের মূলধারা ভাওয়াইয়া। এ অঞ্চলের এ গান একসময় উপমহাদেশে বেশ জনপ্রিয় ও পরিচিত ছিল। ভাওয়াইয়া গানের কথা আসলে যে বিষয় প্রসঙ্গগুলো আসে তাহলোÑ গরু, গরুর-গাড়ি, নিধূয়া পাথার (জনশূন্য রাস্তা বা পথ) ও গ্রাম্যবধূ প্রভৃতি। তখনকার দিনে মানুষ ও নানাবিধ জিনিস বা পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে গরুর গাড়িই ছিল একমাত্র ভরসা। যেমন আবদুল করিমের লেখা- ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই/কত রবো আমি পন্থের দিকে চাইয়া রে/যেদিন গাড়িয়াল উজান যায়/নারীর মন মর ছুইরা রয় রে/ওকি গাড়িয়াল ভাই/হাঁকাও গাড়ি তুই চিলমারির বন্দরে রে/আর কি কবো দুষ্কের ও জ্বালা গাড়িয়াল ভাই/গাঁথিয়াছি কনমালা রে/ওকি গাড়িয়াল ভাই/কত কান্দিম মুই নিদুয়া পাথারে রে/ওকি গাড়িয়াল ভাই/কত রব আমি পন্থের দিকে চাইয়া রে/ওকি গাড়িয়াল ভাই/হাঁকাও গাড়ি তুই চিলমারির বন্দরে রে।’

লোকসংগীতের একটি অসাধারণ হৃদয়গ্রাহী শাখা ভাওয়াইয়া। উত্তরাঞ্চলের গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকা, সমাজ, পরিবেশ, প্রকৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য, উৎসব-পর্ব, আচার-আচরণ, বিশ্বাস-অবিশ্বাস, লাঞ্ছনা-বঞ্চনা-গঞ্জনা, শ্রেণি-বৈষম্য ইত্যাদি বাঙময় হয়ে ফুটে উঠেছে ভাওয়াইয়ার কথা ও সুরের মূর্ছনায়। উদাস করা সুরের মাঝে আধো-ভাঙা বা ভাঁজ পড়া এ গানের বৈশিষ্ট্য। ভাওয়াইয়ার সুরের স্থানে স্থানে দীর্ঘটান যুক্ত এবং এই টান নিরবিচ্ছিন্ন। স্থানে স্থানে আঘাত মিলে ভাওয়াইয়ায় এক প্রকার স্বতন্ত্র সৌন্দর্যমণ্ডিত ভাবোদয়ের সৃষ্টি হয় (তথ্যসূত্র : সংগীত কোষ, করুণাময় গোস্বামী, বাংলা একাডেমি, ১৯৮৫)।

এ প্রসঙ্গে লোকসংগীত গবেষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘তরাই অঞ্চলের চারণভূমিতে গরু-মোষ চড়াতে গিয়ে রাখাল, মৈষালরা অবসর অলস মুহূর্তগুলোতে গান বাঁধে, সুরারোপ করে গেয়ে ওঠে আপন মনে। পাদদেশীয় উপত্যকায় মোষ পালকের কণ্ঠনিঃসৃত ধ্বনি পাহাড়ের গায়ে প্রতিধ্বনিত হয়ে বাতাসে কাঁপনের সৃষ্টি করে। যার ফলে এ গানের গায়কের কণ্ঠস্বর ভেঙে ভেঙে উচ্চারিত হয়।’ (তথ্যসূত্র : হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশের লোকসংগীত ও ভৌগোলিক পরিবেশ, বাংলা একাডেমি, ১৯৮২)। ‘উত্তরাঞ্চলের রাখাল মৈষালরা মাঠ প্রান্তরে গরু মোষ চরানোর সময় এদের পিঠে বসে ভাওয়াইয়া গান গাইতো। তখন এদের চলা গতিতে যে উত্থানপতন ঘটে তার প্রভাবে গানের সুরে ধাক্কা বা ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকে ধারণা করেন। অতীতে হাতির চালক বা মাহুত দূরে কোথাও হাতি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতির পিঠে বসে ভাওয়াইয়া গান জুড়ে দিতো। আর এক্ষেত্রে হাতির চলন ভঙ্গির উত্থান-পতনের কারণে গানের সুরে ধাক্কা বা ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। অতীতে উত্তরাঞ্চলের জনজীবনে যানবাহন হিসেবে গরু-মোষের গাড়ির ব্যাপক ব্যবহার ছিল। এ অঞ্চলের মাঠ প্রান্তরের উঁচু-নিচু মেঠোপথ বেয়ে দূর গন্তব্যে গরু মোষের গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িয়ালরা গলা ছেড়ে গাইতো দীর্ঘটানের ভাওয়াইয়া গান। আর এই গান গাওয়ার সময় উঁচু-নিচু পথে গাড়ি ওঠানামা করার ফলে যে ঝাঁকুনি বা দুলুনীর সৃষ্টি হতো তার প্রভাবে গায়কের গানের সুরও ভেঙে ভেঙে আসতো। কারণ, ভাওয়াইয়া যখন সমতলের আসরে গাওয়া হয় তখনও এই ভাঙনের কাজ থাকে। আসলে এই ভাঙন একটি সুরভঙ্গি।’ (তথ্যসূত্র : নির্মল দাস, ভাওয়াইয়ার ভাষাতত্ত্ব লোকসাহিত্য গবেষণা, কলকাতা-১৩৯৯)। তবে এই সুরভঙ্গি সৃষ্টির মূলেও গায়কের বাহনের চলন ভঙ্গির উত্থান-পতনজনিত প্রভাবকে একবারেই অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু আবার অনেকে গায়কের বাহনের চলন ভঙ্গির উত্থানপতনের প্রভাবেই যে ভাওয়াইয়ার সুরে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে এই ধারণা মানতে নারাজ। তারা ভাওয়াইয়ার সুরে ভাঙনের সৃষ্টির কারণ সম্পর্কে Ethnic বা গোষ্ঠীগত বৈশিষ্ট্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করেন। এ প্রসঙ্গে সুখবিলাস বর্মা বলেন, ‘আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, রাজবংশী গোষ্ঠীজাত কোনো গ্রাম্য শিল্পীর কাছে এই গলাভাঙা স্বর বা সুর অতি সহজেই আসে যেহেতু কণ্ঠ থেকে উৎপন্ন ধ্বনি মুখম-লে প্রবেশ করার পর জিহ্বা, তালু, নাসারন্ধ্র এবং ওষ্ঠ, মুখগহ্বর ও চোয়ালের বিশেষ ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন রূপ লাভ করে, তাই রাজবংশী গোষ্ঠীর দৈহিক বৈশিষ্ট্য নাক, মুখ, মুখগহ্বর ও চোয়াল এক্ষেত্রে এই গলাভাঙা বা স্বরভঙ্গির ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক হিসেবে কাজ করে।’ (তথ্যসূত্র : সুখবিলাস বর্মা, ভাওয়াইয়া লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র, কলকাতা-১৯৯৯)। আবার কেউ কেউ মনে করেন, ভাওয়াইয়া গানে গলাভাঙা উচ্চারণের যে বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে তা উত্তরবঙ্গের নৈসর্গিক ও ভৌগোলিক পরিবেশের কারণে ঘটে থাকে। নদীর উপর্যপুরি ভাঙনের ফলে নদীগুলো বারবার বাঁক নিয়ে আঁকাবাঁকা পথে খরস্রোত ধারায় প্রবাহিত হয়। নদীর এই ঘন ঘন ভাঙন ও বাঁক পরিবর্তনের প্রভাব এসে গাঙের পাড়ের মানুষের ওপর পড়ে। তাদের জীবনেও চলে ভাঙা-গড়ার অনেক পরিবর্তন। আর এই প্রভাব পড়েছে নদী পাড়ের মানুষের গাওয়া ভাওয়াইয়া গানের কথা ও সুর বৈচিত্র্যে। নদী ভাঙন ও নানা উত্থানপতন ঘটা স্বাভাবিক বলে অনেকে ধারণা পোষণ করে থাকেন। সুতরাং আমরা বলতে পারি, কোনো একক বৈশিষ্ট্যম-িত কারণে ভাওয়াইয়ায় গলাভাঙা বা সুরভাঙন বা সুরভঙ্গি ঘটেনি। কিছুটা ভূ-প্রকৃতিজাত ও পরিবেশগত ভৌগোলিক পারিপার্শি¦কতার কারণে কিছুটা বিভিন্ন পেশাশ্রেণির মানুষের পেশাবৃত্তি বা কর্মপ্রবাহজাত আবার তেমনিভাবে কিছুটা আঞ্চলিকতার বেড়াজালে আবদ্ধ ভাব ভাবনা ও ভাষাগত তথা নৃতাত্ত্বিক (জাতিগত ) বা গোষ্ঠীগত বৈশিষ্ট্যের সম্মিলিত প্রয়াসের প্রভাবজনিত ফলাফল।

ভাওয়াইয়ার ভাব, ভাবনা, বিষয়, বাণীর ভাষা আঞ্চলিক কথ্যরীতি প্রভাবপুষ্ট এবং আঞ্চলিকতার আবেশে উদ্ভাসিত বৈশিষ্ট্যময় সুরের মূর্ছনায় ঝর্ণাধারা সতত প্রবাহমান। মাটি, মানুষ ও হৃদয়ের গভীর থেকে উৎসারিত উত্তরাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীত তথা আমাদের প্রাণের সংগীত ভাওয়াইয়া। ভাওয়াইয়া গান আজ শুধু আঞ্চলিকতার গ-ির মধ্যে নয় বরং বিশ্বসংগীত ভুবনে লোকসংগীতের আসন অলংকৃত করে চলেছে। খেটে খাওয়া মানুষের গলায় গীত এ গান আজ সুরের ঝংকার আর হাজারো দর্শক শ্রোতার ওঁকার আর মুর্হুমুর্হু করতালিতে গীত হচ্ছে নামিদামি বরেণ্য শিল্পীর সুললিত কণ্ঠে। আসামের গোয়ালপাড়ার ভাওয়াইয়া পরিবেশিত হচ্ছে ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে। বাংলাদেশের রংপুর, দিনাজপুর, ভারতের কোচবিহার, জলপাইগুড়ির ভাওয়াইয়া পরিবেশিত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-নিউইয়র্ক-লন্ডনে। ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীত ভাওয়াইয়াকে আঞ্চলিকতার গ-ির বাইরে নিজ দেশের সর্বাঞ্চলে ও বিশ্বজনীন পর্যায়ে পরিচিত করার ব্যাপারে যার ভূমিকা সর্বাগ্রে তিনি বাংলা লোকসংগীত ভুবনের প্রবাদ পুরুষ ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দিন আহমদ। তার উত্তরসূরি প্রয়াত ভাওয়াইয়া যুবরাজ মো. কছিম উদ্দিন, মহেশ চন্দ্র রায়, হরলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ মিশ্র এবং ওপার বাংলার হরিশ চন্দ্র পাল, সুরেন্দ্রনাথ রায় বসুনিয়া, নায়েব আলী (টেপু) শ্রীমতি প্রতিমা বড়য়া (পান্ডে) ছাড়াও দুই বাংলার অনেক খ্যাতনামা অনেক ভাওয়াইয়া শিল্পী, গবেষক, সংগ্রাহক, সংগঠক, গীতিকার ও সুরকার যারা ভাওয়াইয়া গানের প্রবাহমান ধারাকে সমৃদ্ধ করেছেন। ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীত ভাওয়াইয়া যেমন আজ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পরিবেশিত হচ্ছে তেমনি করে শহরের নামিদামি মঞ্চেও পরিবেশিত হচ্ছে ঢাক, ঢোল, বাঁশি আর দোতরার বোলে। শুধু তাই নয়, আসামের গোয়ালপাড়া থেকে লন্ডনে বিবিসির বিশেষ অনুষ্ঠানে মোহনীয় সুর ঐশ্বর্যে ভাওয়াইয়া পরিবেশিত হচ্ছে। বিশ্বে শুনছে লক্ষ কোটি দর্শকশ্রোতা। ভাওয়াইয়ার শেকড় বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। হিমালয়ের পাদদেশীয় তরাই অঞ্চল থেকে চিলমারির বন্দর পর্যন্ত। সুজলা, সুফলা, শস্য-শ্যামলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ ঐশ্বর্য আর এ অঞ্চলের মানুষের সহজ-সরল জীবনযাত্রার নানা অনুষঙ্গ বাঙালি জাতিকে করে তুলেছে সংগীতপ্রবণ। হাজার বছরের পুরনো বাংলা সাহিত্য ও সংগীতের আদি নিদর্শন ‘চর্যাপদ’-এর গানের সঙ্গে ভাওয়াইয়া গানের ভাষাগত অপূর্ব সাদৃশ্য লক্ষণীয়Ñ ‘টালত মোর ঘর নেহি পড়বেসী/হাড়িত ভাত নাহি নিতি আবেশী॥’ (৩৩ নং চর্যা, পদকর্তা, ঢেনঢন পাদানম)

এ থেকে ধারণা করা হয়, চর্যাপদের সময়ে বা তারও আগে ভাওয়াইয়া গানের প্রচলন ছিল। তবে এর পূর্ববর্তী কিংবা পরবর্তীতে দীর্ঘকাল যাবত ভাওয়াইয়ার আর কোনো প্রামাণ্য রূপ পাওয়া যায়নি। চর্যাপদের সুদীর্ঘকাল পরে আরো দুটি ভাওয়াইয়া গানের লিখিত রূপ পাওয়া যায় ১৯০৩ সালে প্রকাশিত প্রাচ্য ভাষাতত্ত্ববিদ জর্জ আব্রাহাম গ্রীয়ারসন (G.A. Grierson)-এর Linguistic Survey of India গ্রন্থে। এখানে তিনি ১৯৭৮ সালে সংগৃহীত দুটি প্রাচীন ভাওয়াইয়া গানের পাঠ (Text) প্রাসঙ্গিক আলোচনাসহ উদ্ধৃত করেনÑ ‘পর্থম যৌবনের কালে না হৈল মোর বিয়া/আর কতকাল রহিম ঘরে একাকিনী হয়া,/রে বিধি নিদয়া।/হাইলা পৈল মোর সোনার যৈবন মলেয়ার ঝরে/মাও বাপে মোর হৈল বাদী না দিল পরের ঘরে,/রে বিধি নিদয়া।/বাপকে না কও সরমে মুই মাওক না কও লাজে/ধিকি ধিকি তুষের আগুন জ্বলছে দেহার মাঝে,/রে বিধি নিদয়া।’

দ্বিতীয় সংগৃহীত ভাওয়াইয়াটি- ‘প্রাণ সাধুরে/যদি না যান সাধু পরবাস,/না করেন সাধু পরের আশ/আপন হাতে সাধু আঁধিয়া খান ভাতোরে॥/প্রাণ সাধুরে/কোছার কড়ি সাধু না করেন বয়/পরার নারী সাধু আপন নয়/(ও) পরনারী সাধু বধিবে পরানোরে...॥’ যতদূর জানা যায়, এই দুটি গানই প্রথম মুদ্রিত ভাওয়াইয়া গান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close