মুম রহমান
বাদশা বন্দনা
কোথাও কেউ নেই...
বাদশাহ নামদার
কেবল আপনি আছেন
অনন্ত অম্বরে
মেঘের ছায়া হয়ে।
কহেন কবি কালিদাস,
যখন নামিবে আঁধার
কৃষ্ণপক্ষ চারিদিকে
তবুও সৌরভ
দারুচিনি দ্বীপ
রুপালি দীপ
ঘিরে
তবুও
বৃষ্টিবিলাস
সমুদ্রবিলাস।
তখন
পাখি আমার একলা পাখি
অচিনপুর থেকে ফেরা
তখন
গৌরীপুর জংশনে
এই বসন্তে
লীলাবতী
মৃন্ময়ী
তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে
হয়তো
যশোহা বৃক্ষের দেশে
কিংবা
হোটেল গ্রেভার ইনে
হয়তো
দেখা না-দেখার
শঙ্খনীল কারাগারে
কিংবা আমাদের সেই
নন্দিত নরকে
দিনের শেষে
সকল কাঁটা ধন্য করে
আমাদের
দ্বৈরথ
নির্বাসন।
জনম জনম
এই মেঘ রৌদ্রছায়া
এই নক্ষত্রের রাত
অনন্ত নক্ষত্র বীথি
এই ছায়াবিথী
রোদন ভরা এ বসন্তে
কেঁদে যায়
বলে-
চোক্ষে আমার তৃষ্ণা
শুনুন
সম্রাট,
বাদশাহ নামদার,
ম্যাজিক মুন্সি,
কালো জাদুকর
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
একা একা
তখনও
আপনার
কাঠপেন্সিল
বলপয়েন্ট
রংপেন্সিল
ফাউন্টেনপেন
এইসব দিনরাত্রি
শ্রাবণ মেঘের দিন
গল্প বুনে যায়।
আজও গেয়ে যায়
লিলুয়া বাতাস
জল জোছনা
আজও
অন্ধকারের গান
ময়ুরাক্ষী
তীরে
আজও বয়ে যায়
আমার ছেলেবেলা
কিছু শৈশব,
আজও রচিত হয়
তোমাদের জন্য রূপকথা
তোমাদের জন্য ভালবাসা
দরজার ওপারে
ফেরা ও বাসর।
আজও
সূর্যের দিন
আজও
জয়জয়ন্তী
স্বপ্ন বুনে যায়
জানি একদিন
আসবে
অন্যদিন
জানি একদিন
ডাকবে
অন্যভুবনÑ
হয়তো তখনো
মৃণ¥য়ীর মন ভালো নেই
হয়তো তখনো
তিথির নীল তোয়ালে
মধ্যাহ্ন
অপরাহ্ন
ছুঁয়ে
আসমানীরা তিন বোন
হয়তো তখনো
শুভ্র গেছে বনে
তবু
নীল মানুষ
তবু
মহাপুরুষ
তবু
নিশীথীনি
তবু একজন মায়াবতী
হাতছানি দিয়ে বলে
আজ আমি কোথাও যাব না।
কবি,
নৃপতি,
প্রিয় পদরেখা,
প্রিয়তমেষু,
নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ
আর
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
মিসির আলি! আপনি কোথায়!
"