ফখরুল হাসান
০৪ মে, ২০১৮
ঋণখেলাপি মৃত্যু
পূর্ণিমাকে দেখেছি ঝরে যেতে। যেমন ঝরে যায় শিউলিফুল। শিমুল কী অপূর্ব, তবুও মাটিতে পড়ে পিষে যায় পথিকের পায়ে পায়ে! কী অদ্ভুতদর্শনে শিমুলফুল আমাকে টেনে নেয় মাটিতে। হয়তো শিমুলের মতো মাটিতে মিশে যাবে জন্মের চিহ্ন। বকুল বা রজনীগন্ধা প্রিয় হলেও তাদের মতো সৌভাগ্য হবে না। কোনো এক পূর্ণিমাকে সাথি করে, জন্মের ঋণ শোধ না করেই শিউলিফুলের মতো ঝরে যাবে...
শিমুলগাছ কৃষকের আঙিনায় নিষিদ্ধ! তাই স্বহস্তে জন্মপুরুষের কবরের কাছে রোপণ করেছি। বকুলগাছ আর রজনীগন্ধা। সম্ভবত স্বর্ণালির কাছ থেকেই প্রথম পেয়েছিলাম বকুল আর রজনীগন্ধা। সেও এখন পূর্ণিমা হয়ে আলো ছড়ায় অন্য আকাশে। যেখানে আমার কোনো সীমানা নেই। তাই চলে যাওয়া নিয়ে আমার দুঃখ বা ভয় নেই। ভয়টা জন্মের ঋণখেলাপি মৃত্যু নিয়ে।
"
প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন