আল ফাতাহ মামুন
অগ্নিবীণা সংসদের বর্ষবরণ সম্মাননা প্রদান উৎসব
২২ এপ্রিল। রোববার দুপুরের পর থেকেই আকাশ গুমট হতে থাকে। চারদিকে অন্ধকার ছড়িয়ে বৈশাখী ঝড়ের প্রস্তুতি নেয় রাজধানীর ব্যস্ততম নগরী পল্টন ও তার আশপাশের এলাকা। লোকজন ছুটোছুটি করে যে যার মত নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নেয়। ঠিক এমন সময় অগ্নিবীণা ঢাকা মহানগর সংসদের উদ্যোগে শুরু হয় বর্ষবরণ উৎসব ১৪২৫।
‘ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কালবোশেখীর ঝড়/তোরা সব জয়ধ্বনি কর’- কবি নজরুলের এ পঙ্ক্তিকে প্রতিপাদ্য করে সেজে ওঠে এবারেরর বর্ষবরণ উৎসব। অগ্নিবীণা কেন্দ্রীয় সংসদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ এম সিরাজের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে অতিথিদের বক্তব্য, কবিতা আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে জমে ওঠে বর্ষবরণ। সন্ধ্যা হয় হয় এমন সময় যখন আকাশ ভেঙে বৃষ্টি শুরু, তখন বিশিষ্ট নজরুল আবৃত্তিশিল্পী সীমা ইসলাম বলতে বাধ্য হন- ‘অগ্নিবীণা সংসদের উদ্যোগে আজ বর্ষবরণ উৎসব হচ্ছে। প্রকৃতিও তাদের সঙ্গে এই উৎসবে যোগ দিয়েছে। তাইতো কালবোশেখীর ঝড় তুলে বর্ষবরণ করছে সেও।’
বিকেল ৩টা থেকেই নজরুল প্রেমিকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে তোপখানা রোডের শিশুকল্যাণ মিলনায়তন। বর্ষবরণ উৎসবের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর অগ্নিবীণা সংসদ। পাশাপাশি জাতীয় কবি সম্মাননা ২০১৭ দেওয়া হয় ওই দিন। সম্মাননা ঘোষণা করেন পহেলা বৈশাখ ঢাকা মহানগর অগিবীণার সাধারণ সম্পাদক কবি ফখরুল হাসান। সম্মাননা পেয়েছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, আবৃত্তিশিল্পী সীমা ইসলাম, এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার মাহফুজা মুসলেহীসহ ১০ জন কবি-সাহিত্যিক। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য মনোনীত ১০ জনের মধ্যে কবি আলমগীর রেজা চৌধুরী, মাসুদ পথিক, অতনু তিয়াস এবং শিশু সাহিত্যিক শাম্মী তুলতুলের নাম উল্লেখযোগ্য।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি কাজী রোজী এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন নজরুল গবেষক মো. আমিনুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. জাকীর হোসেন প্রমুখ।
"