শতাব্দী জাহিদ
১৯ জানুয়ারি, ২০১৮
আগুনমাখা ডাক
আয়শার পোষা ঢুলি বাঘের লাফে শীতের রৌদ্রসকাল মাত করে রাখে
মাকে হাজিরা দেয় পাকের ঘরে শিমের মাচায়
কাছারিঘরে জায়নামাজ ঘেঁষে শব্দশূন্য পায়ে বাবার তিলাওয়াত শুনে
কীভাবে যে খবর পায় আয়শার মক্তব-ফেরা চোখ কচলানো অভিমান
গভীর মনোযোগে বসে থাকে চুলার পাশে মায়ের পাতা পিঁড়ির মুখোমুখি
অপেক্ষা রোজকারের মতো আয়শা তুলে দেবে শীতের গুড়ের ভাপা পিঠা।
খেজুরগাছের ফাঁকিবাজি ছায়ায় পিঁপড়া টোকায় ঘাসফড়িং
পরাকাষ্ঠাহীন গ্রাম মই বেয়ে মিশে ঝাপসা আকাশের মাঠে
কাদাজলে একদল কিশোর বুদ্ধি বাড়ায় কৈ, টাকি, শিং ধরে
আর তোমার স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় সাইকেলের চেন পড়ে রোজ!
নাড়া ক্ষেতের হু হু শীতের রাত ছাপিয়ে খাজা কাকার তাড়ির মোকাম
চেনা মুখ তবুও ঢেকে রাখে চাদরের মুখোশ।
কান পেতে শুনি মাটিতে নদীর মতো বয়ে যায় খেজুরের রস
দূরের ঘাটে কারা যেন ডাকে-
আগুন দিছি মিয়ারা, দল বাঁধি আগুন মাখি গায়।
"
প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন