ইমরান মাহফুজ

  ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭

লালব্রিজ গণহত্যা

মুক্তিযুদ্ধের অজানা অধ্যায়

জাতীয় জীবনে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতা। আর এ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য কতটা নির্মম ঘটনার মোকাবিলা করতে হয়েছে, তা বলার অবকাশ নেই। তার মধ্যে অন্যতম গণহত্যা। এসব নির্মম সময় পেরিয়ে একটি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিহাস তার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই জড়িয়ে থাকে দেশের শিল্প ও সাহিত্য। আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও জড়িয়ে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে মর্যাদার সঙ্গেই শিল্প-সাহিত্যে তুলে ধরায় অংশ নিয়েছেন আমাদের কবি ও কথাসাহিত্যিকরা। বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন তাদের লেখনীর মাধ্যমে।

ইতিহাস অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনী বাংলাদেশে অসংখ্যা নির্যাতন কেন্দ্র গড়ে তুলে ছিল। সেখানে হাজার হাজার মা, বোন, যুবা-বৃদ্ধা, শিশু-কিশোরদের দিনের পর দিন নির্যাতন চালিয়ে অবশেষে হত্যা করে কবরের নামে যততত্র মাটিচাপা দিয়ে রেখেছিল। তেমনি একাত্তরের ঘাতকদের এক জল্লাদখানা ও বধ্যভূমি আবিষ্কারের চাঞ্চল্যকর সংবাদ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে; যা ৪৫ বছরে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই হয়নি। বলা যায় মুক্তিযুদ্ধের এক অজানা অধ্যায়।

চুয়াডাঙ্গার জেলার আলমডাঙ্গা থানার রেলব্রিজের সংলগ্ন যুদ্ধকালীন পাক ঘাতকরা ট্রেন থামিয়ে স্বাধীনতাকামী প্রায় দুই হাজার নারী-পুরুষকে হত্যা করে রেলব্রিজের পাশে ওয়াপদা ভবনের বাউন্ডারি মধ্যে ও পার্শ্ববর্তী দুটি বধ্যভূমিতে পুঁতে রাখে। চাঞ্চল্যকর এ তথ্য ও বধ্যভূমির স্থান চিহ্নিত করেছেন আলমডাঙ্গা শহরের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সবেদ আলী এবং গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী বধ্যভূমি পার্শ্ববর্তী কামালপুরের ৭০ বছরের কৃষক আবুল হোসেন। লেখককে জানান, তার জমিতেই প্রায় এক হাজার নারী-পুরুষকে খানসেনারা হত্যা করে পুঁতে রেখেছে। সবেদ আলী জানান, মুক্তিযুদ্ধের পর পাক হানাদারদের নৃশংসতা খুঁজতে গিয়ে ’৭১-এর জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে রেলব্রিজের কাছের ওই বধ্যভূমি খনন করে ৪০০ মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড় তুলে ছবি তুলে রাখা হয়েছিল। তবে ওখানে আরো প্রায় এক-দেড় হাজার দেহাবশেষ রয়েছে। প্রচন্ড গ্যাসের কারণে আর না তুলে উত্তোলিত দেহাবশেষ ওখানে পুঁতে রাখি।

পাকিস্তানি হানাদারদের জল্লাদিখানা মিরপুরের বধ্যভূমি গেলে স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের মাথার খুলি ও হাড়গোড় খুলে মুক্তিযদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনুরূপভাবে আলমডাঙ্গায় পাক হানাদারদের জল্লাদখানা এবং তার পাশের বধ্যভূমি খনন করলে স্বাধীনতাকামী প্রায় দুই হাজার শহীদের কঙ্কাল উদ্ধার হবে। এতে ঐতিহাসিক গণকবরের সন্ধান মিলবে এবং বর্বরতার প্রমাণ পাওয়া যাবে।

বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, যুদ্ধকালীন আলমডাঙ্গা রেলব্রিজের পাশের মাছ হাটের কাছে পাক হানাদাররা ডাউন ট্রেন থামিয়ে স্বাধীনতাকামী মানুষকে ট্রেন থেকে নামিয়ে পাশেই ওয়াপদার শেডের মধ্যে আটক রেখে সুন্দরী নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালাত। পরে তাদের হত্যা করে বধ্যভূমিতে পুঁতে রাখত। পুরুষদের দিয়ে বধ্যভূমির গর্ত শেষে হত্যা করে তার মধ্যে ফেলে দিত।

এ গণহত্যার প্রধান হোতা ছিল সালেহ জয়েন (লেফটেন্যান্ট, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী), মেজর রানা, আব্দুল গাফুর (কর্নেল, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, পিএসএস নং : ৯৩৮৭, পিওডব্লিউ : ১২৫৫), ক্যাপ্টেন মাজাফ্ফর হোসাইন নাক্ভী (পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, পিএ নং: ২২০০, পিওডব্লিউ : ৫৮) এবং হাবিলদার এনায়েত খান। আবুল হোসেন (কৃষক) জানান, বাঁশের আগা সূচালো করে মানুষেকে খুঁচিয়ে হত্যা করত হাবিলদার এনায়েত। আবুল হোসেনের সামনেই প্রায় ২০ জনকে হত্যা করেছে। এই ব্রিজের উত্তর পাশের একটি বাগানেও রয়েছে আরো একটি বধ্যভূমি, যেখানে আরো কয়েকশ মানুষকে হত্যা করে পুঁতে রাখা হয়। সম্প্রতি বধ্যভূমির খনন এবং সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধের অজানা অধ্যায়ে আলমডাঙ্গাতে বর্বরতার আরেকটি প্রমাণ।

অজ্ঞাতনামা হাজারো শহীদ : লালব্রিজের ওপর ট্রেন থামিয়ে নিয়মিত নারী, শিশু, যুবক-যুবতীদের নির্যাতন করে বিভিন্নভাবে হত্যা করে শেডের আশপাশে গর্তে মাটিচাপা দিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এভাবে জুন থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার মানুষ হত্যা করে এখানে চাপা দেওয়া হয়। কারোই পরিচয় স্থানীয়রা শনাক্ত করতে পারেননি। পরে স্বজনরা এসেও হতাশ হয়ে ফিরে যান। কারণ ট্রেনে উঠা মানেই নিরাপদে পৌঁছবে, ভেবে নিয়েছিল স্বজনরা। অথচ হায়েনারা যে এমন তান্ডব চালাবে ধারণাও হয়তো করেনি অনেকে। ধারণা করলেও বিকল্প উপায় ছিল না কারো কারো। বেঁচে থাকা বা নিরাপদে যাওয়ার জন্য চলতে থাকলেই যাত্রাপথে আলমডাঙ্গা ওয়াপদা ডিভিশনে নামাত। পরে বাংলোতে বিশেষ করে শিক্ষিতা সুন্দরী তরুণীদের পাকিস্তান অফিসাররা নির্যাতন করত রাতভর। বেঁচে থাকার আকুতি হৃদয়ে পৌঁছায়নি। এ অমানুষরা দু-তিন দিন পর ওই সব মহিলাকে পুনরায় ফেরত পাঠানো হতো রেলব্রিজের ক্যাম্পে হত্যা ও নির্যাতন সেলে। সাধারণ সৈনিকরা নির্যাতন করার পরে তাদের হত্যা করে গর্তে মাটিচাপা দিত।

গণহত্যা-নির্যাতনের বিবরণ : আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার পূর্বে ব্রিজটির পশ্চিম প্রান্তে ছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ গেট কিপারশেড ছিল নারী নির্যাতনের স্থান। ব্রিজটির ওপর গাড়ি থামিয়ে নিয়মিত নারী, শিশু, যুবক-যুবতীদের নামিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করে শেডের আশপাশে বিরাট গর্ত করে মাটিচাপা দেওয়া হতো। এভাবে জুন থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার মানুষ হত্যা করে এখানে চাপা দেওয়া হয়।

জানা যায়, ওয়াপদা ডিভিশনের বাংলোতে শিক্ষিতা সুন্দরী মহিলাদের ট্রেন থেকে নামিয়ে ওই ক্যাম্পে সরবরাহ করা হতো। পাকিস্তান অফিসারদের নির্যাতন চলত রাতের পর রাত। দু-তিন দিন পর ওইসব মহিলাকে পুনরায় ফেরত পাঠানো হতো রেলব্রিজের ক্যাম্পে হত্যা ও নির্যাতন সেলে। সাধারণ সৈনিকরা নির্যাতন করে ও পরে তাদের হত্যা করে গর্তে মাটিচাপা দিত। কত চিৎকার, কত রোদনÑতা দেখার বা শোনার কেউ ছিল না।

একাত্তরের জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই হত্যাযজ্ঞ ও পাশবিক নির্যাতন চলে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আলমডাঙ্গার নেতৃস্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ মাটিচাপা দেওয়ার ওপর বর্ণিত অসংখ্য নারী-পুরুষ এবং যুবক-যুবতীর মৃতদেহ চাক্ষুষ দেখেন। মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী বলেন, সেখানে ধানিজমিতে চাষ দিতে গেলে এখনো উঠে আসে মানুষের হাড়গোড়। মাটি খুঁড়লে মেলে মাথার খুলি, শিশুর ছেঁড়া জামা, নারীর শাড়ির খন্ড অংশ। শুধু হাড়গোড় নয়, সোনার আংটি কিংবা কানের দুলও পাওয়া যায় মাটির নিচে। মৃত মানুষের শেষ চিহ্ন এখনো আলমডাঙ্গার মাটিতে মিশে যায়নি। গণহত্যার সাক্ষ্য বহন করে চলছে আলমডাঙ্গার মাটি।

ডিসেম্বর শেষ সপ্তাহে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সমন্বয়ে স্থানটি শনাক্ত করে মাটি খুঁড়ে অগণিত নারী-পুরুষের কঙ্কাল পাওয়া যায়। ওই সময়ে দুর্গন্ধযুক্ত পচা-গলা লাশ সেখানেই আবার মাটিচাপা দেওয়া হয়। উক্ত স্থানে নারী-পুরুষ, শিশুসহ দুই হাজারের অধিক মানুষ হত্যার নির্দশন আছে। এখনো যদি ওই স্থানটি খনন করা হয়, তবে সে সমস্ত লাশের নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়। (এম এ মামুন : চুয়াডাঙ্গায় একাত্তরের গণকবরের সন্ধান, দুই হাজার লোক হত্যা করে পুঁতে রেখেছে হানাদার বাহিনী, দৈনিক জনকণ্ঠ, ১ ডিসেম্বর ১৯৯৯)।

নির্যাতিতদের মৌখিক ভাষ্য

আবুল হোসেন : কী বলব, সে সময়ের কথা মনে হলে কোনো কথা বের হয় না। কে যেন মুখ ধরে রাখে। গুনু মিয়ার বাপ বলে জানতাম যাকে, সে হয়ে গেল পিস কমিটির চেয়ারম্যান। পাশে আরেকজন হলেন সেক্রেটারি। মুগু, হারেছ কাজ করত কাজ মানে, পাকিস্তানি ক্যাম্পে ভাত রান্না। আমি সবার ছোট ছিলাম বলে পূর্ণ কাজ সম্ভব হতো না বলে জোগালি (সহযোগিতা করা) দিতাম। বিনিময় প্রতিদিন দুই টাকা আর ভাতের মাড় খেতে পারতাম। এর মধ্যে আমাদের পরিচিত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে প্রতিদিনের সংবাদ তথা কোথায় কী যতটুকু সম্ভব পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টায় থাকতাম।

একদিন আমাদের বলে, আজ (স্টিলব্রিজ সংলগ্ন বধ্যভূমিতে) ওইখানে গর্ত খুঁড়তে হবে। আমরা তো ভয়ে পাথর, কোনো কথা বলতে পারছি না। পিস কমিটির চেয়ারম্যান ইউসুপ মিয়া, সদস্য আহমেদ বুকড়া বাধ্য করেছে যেতে। সেখানে তাদের এত প্রভাব ছিল কেউ তাদের কথা অমান্য করার সাহস ছিল না। সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাদের এই কাজ (গর্ত খুঁড়া) করতে হতো। ৪টার পরে আমাদের কাউকে থাকতে দিত না। এক দিন কাজ করেছি আমার কাছে খুবই কষ্ট হয়েছে বলে শেষ করতে পারব না। আর পার্শ্বে যে দৃশ্য দেখার সুযোগ হয়েছে তা মনে করলে বেহুঁশ হয়ে যাই। চারদিকে মানুষের মুখ থেকে শোনা যেতÑও আল্লাহ গো, ও আল্লাহ গো, ও মা গো, ও মা গো। এমন আর্তনাদ-আহাজারি আকাশ-বাতাস ভারী করত।

দ্বিতীয় দিন যখন আমাকে নেওয়া হয়, সেদিন মনে হয় আমার জীবন যেন এখানে শেষ হয়ে যাবে। প্রথমে গিয়ে দুটি গর্ত খুঁড়ি। তাদের একজন অস্ত্র হাতে এসে বললÑএই লোকটি ফেলে দে, এখনি ফেলে দে। আমি যেন জল্লাদ, গর্তের মধ্যে ফেলে দিলাম লোকটিকে। তাৎক্ষণিক আমার মাথা ঘুরছিল। একটা মানুষের মৃত্যু আমার হাতে। এটা কী করে সম্ভব!

মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম ব্যাপারী জানান, আমাকে প্রথমে লালব্রিজের কেনালের ভিতর বুক পরিমাণ পানিতে ডুবিয়ে রাখে। সারা শরীর যেন বরফ। দিনের অর্ধেকটা সময় এই অবস্থায়। বাকি দুজনকে চোখের সামনে কীভাবে মারল তা বলার ভাষা নাই।

দেখলাম পরপর দুটি ট্রেন থামাল। বাঙালিদের সহযোগিতায় হানাদার বাহিনীরা ট্রেন থেকে পছন্দমতো প্রায় ৩০-৪০ জনের মতো নারী-পুরুষ নামাল। হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদ নেই। সুন্দর মেয়েদের অন্যত্র নিয়ে গেল। অন্যদের নিজ হাতে গর্ত খোঁড়ানো হতো। গর্তগুলো অন্তত চার-পাঁচ হাত পর্যন্ত গভীর হতো। সে গর্তের পাশে দাঁড় করিয়ে নির্মমভাবে ফেলে দিত। এরপর আস্তে আস্তে দেওয়া হতো মাটিচাপা। কারো ওপরে কখনো কখনো বেয়োনটের চার্জও চলত।

সবশেষে আমার দিকে তাকাতেই আল্লাহর অশেষ রহমত হয়। মনে মনে আমিও তাই চাচ্ছিলাম। ইব্রাহিম কসাই (শান্তি কমিটির সদস্য) আমাকে চিনে একজন রাস্তার শ্রমিক হিসেবে। সেটাই আমার জন্য বিরাট উপকারে দাঁড়াল। আমার দিকে এসে অন্যদের বললÑ

: ইঁয়া আদমি কো সোর দো, ও কুচ নেহি জানত।

: ও গরিব আদমি হে।

এদিকে মনের ভেতর আল্লাহ নাম জপতে জপতে ব্যাকুল হয়ে উঠছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মা আমাকে নিতে আসছে। এক পাশে দাঁড়িয়ে আছেন মা। সারা দিনের উপোস, রক্তলাল চোখ। কথা বের হচ্ছে না মুখ দিয়ে। অবশেষে আমাকে তার কথায় অন্যরা ছেড়ে দিল। আর মায়ের দিকে তাকিয়ে বললÑ

: এ বুড়ি তোমারা লেরকা কো লে যাও।

মৃত্যু মানুষের মিছিল থেকে মা আমাকে নিয়ে অশ্রুমাখা চোখে বাড়ির দিকে হাঁটতে থাকে।

বর্তমান অবস্থা : স্থানীয়দের চেষ্টায় আলমডাঙ্গার বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়ে বর্তমান সরকার স্মৃতিফলক নির্মাণকাজ শেষ করেছে। সেই সঙ্গে এলাকার ঝোপঝাঁড় পরিষ্কার করে সেখানে পরিকল্পিতভাবে ফুলের বাগান তৈরি করেছে। বধ্যভূমির চারপাশে জনসাধারণের বসার জন্য কয়েকটি কংক্রিটের বেঞ্চ তৈরি করেছে। সীমানা নির্ধারণের পর বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের কাজ চলছে। মুক্তিযুদ্ধ ও এ বধ্যভূমির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসংবলিত একটি বোর্ড লাগানো হয়েছে। দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ দেখতে আসে। বর্তমানে চমৎকার পরিবেশ বধ্যভূমি প্রাঙ্গণে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist