ফ্লাইট : ছোটবেলা থেকেই সাইমন মরিস নামক একজন বিজ্ঞানীকে দেখা যেত তিনি শূন্যে ভাসমান বস্তু তৈরির প্রতি আগ্রহী থাকতেন। শূন্যে ভাসমান বস্তু তাকে আকৃষ্ট করত। এমনকি তিনি তার স্কেটবোর্ডকেও ঝুলিয়ে রাখতেন। যতদূর তিনি স্মরণ করেন, তিনি বলেন, ‘আমি এটি চালনা করতে পারতাম না’।

এখন তিনি সেই আগ্রহ একটি লাইটটিউব তৈরিতে ব্যবহার করেছেন, যা তড়িৎচুম্বকত্বের ওপর নির্ভর করে শূন্যে ঘুরতে এবং ভেসে থাকতে পারে এবং এটি ইন্ডাক্টিভ কাপলিংয়ের মাধ্যমে অনুনাদিত হয়। তারহীন এই ট্রান্সমিশনের প্রযুক্তিগত পরিভাষা হলো ‘ঃড় ংযরহব’ অর্থাৎ ‘উজ্জ্বল’। মরিস তার এই নকশাটিকে বিজ্ঞান এবং শিল্পের মিশ্রণ হিসেবে দেখেন এবং তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে তিনি টমাস এডিসনের মতো একজন বিজ্ঞানী এবং নিকোলা টেসলারের মতো একজন স্বপ্নবিলাসী মানুষ উভয়কেই সম্মান করেন। ভোক্তারাও এটি খুব সানন্দে গ্রহণ করছে। মরিস বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ‘ঋষুঃব’ রে করার পর থেকেই এটি ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে এবং তাদের টিম আরো নতুন কিছু বাজারজাত করার পরিকল্পনা করছে। তারা কৃষিকাজে ব্যবহার্য যন্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস নতুন আঙ্গিকে বাজারজাত

করার পরিকল্পনা করছেন।

সোলার ছাদ : পরিবেশ বাঁচানো, টাকা সঞ্চয় করা এবং নিজের বাড়ির ছাদকে ভারী ধাতুর স্তূপের সজ্জায় সজ্জিত করাÑএ ধরনের উভয় সংকটে অনেকেই পড়ে থাকেন, যারা সাধারণত সোলার প্যানেল ব্যবহার করেন। এই ধরনের বিড়ম্বনার হাত থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে টেসলা নামক একজন বিজ্ঞানী বলেন, তারা একটি সোলার ছাদের পরিকল্পনা করছেন যে ছাদে এই ধরনের ভারী ধাতব বস্তু বসাতে হবে না। তারা একত্রে মিশ্রিত এমন টাইলসের সিরিজের নকশা করছেন যার মাধ্যমে সৌরশক্তি সঞ্চিত হবে এবং যা সোলার প্যানেলের কাজ সম্পাদন করবে। ভারী ধাতব বস্তুর পরিবর্তে তারা এই ধরনের টাইলস বাড়ির ছাদে ব্যবহার করবেন, যার ফলে বর্তমানে উপলব্ধ সব ধরনের সমস্যা দূর হবে। এটি শিগগিরই বাজারজাত করার আশা

ব্যক্ত করেন তিনি।

মরফার : অনেক সাইকেলিস্টের মতো জেফ উল্ফও একটি গুরুতর দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যা তার মৃত্যুর কারণ হতে পারত। কিন্তু হেলমেট থাকায় তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন। এরপর তিনি বিস্মিত হয়ে লক্ষ্য করলেন, তার অনেক সমসাময়িকই হেলমেট পরতে চায় না, কারণ এটি বহন করা ঝামেলাপূর্ণ এবং কষ্টসাপেক্ষ। এগুলো সাধারণত মোটা এবং ভারী হয় এবং ব্যাগে রাখার মতো মানানসই হয় না। উল্ফ একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ভাবলেন তিনি এই সমস্যাটির সমাধান করতে পারেন। ফল হিসেবে তিনি মরফার নামে একটি হেলমেট উদ্ভাবন করেন যা প্লাস্টিক দ্বারা বুননকৃত। এটি আগের হেলমেটগুলোর মতোই শক্তিশালী এবং ভাঁজ করে রাখার জন্যও যথেষ্ট নমনীয়, এটি প্রায় সম্পূর্ণভাবে চ্যাপ্টা করে ভাঁজ করে রাখা যায়। যার ফলে এটি বহন করা খুবই সহজ। উল্ফ এটি বাজারজাত করেন এবং সফলতার মুখ দেখেন। তিনি বলেন, যত বেশি মানুষ রাস্তায় বাইক নিয়ে বের হবেন, দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ততই বাড়বে। তিনি আশা করেন মরফার জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে।

হ্যালো সেন্স : এমন কি ভাবা যায় যে, একটি অ্যালার্ম ঘড়ি-যা নিষ্ঠুরভাবে আপনার সকালকে বিধ্বস্ত করে দেয়। ঠিক সেটিই আপনার সকালকে সুন্দর করতে পারে! শুধু তাই নয়, আপনার ঘুমেরও উন্নতি করতে পারে! এটি তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, আলো এবং বায়ুর গুণমান পরিমাপ এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যার ফলে আপনার শয়নকক্ষ ঘুমের জন্য পরিপূর্ণ পরিবেশ দিতে সক্ষম হয়। এটি আপনার ঘুমের প্রাত্যহিক চক্র নিরীক্ষণ করবে এবং তখনই আপনাকে সজাগ করবে, যখন আপনি সতেজ অনুভব করবেন। ‘হ্যালো’র সিইও জেমস প্রাউড বলেন, ধন্যবাদ সেই সিম্পল ভয়েস কমান্ডকে।

এই সবকিছুই সম্পাদন হয় একটি সিম্পল ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে। প্রকৃতপক্ষে, ‘সেন্স’ শুধু একটি সাধারণ অ্যালার্ম ঘড়ি নয়, একে চালনা করতে এর মাঝে রয়েছে ১০০ এর বেশি নমুনা। এটি

বাজারজাত করার পরপরই গোড়ার দিকে যারা এটি ব্যবহার করেছেন তারা বলেন, এটি খুবই স্বস্তিদায়ক। জেমস প্রাউড বলেন, আমরা কেউই জীবনে জটিলতা চাই না এবং ঘুমের ব্যাপারে তো অবশ্যই নয়। এই অ্যালার্ম ঘড়িটি জীবনকে সহজ এবং সুন্দর করতে সক্ষম।

"