কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারে প্রকল্পের টাকা লোপাটের অভিযোগে মামলা
গ্রামীণ অবকাঠানো উন্নয়নের নামে ৭৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কক্সবাজারে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করেছেন মকতুল হোসেন। মামলার এই বাদী ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বড়বিল এলাকার হারু মিয়া মেম্বারের ছেলে। গতকাল রোববার মামলাটি করা হয়। মামলার নম্বর ২২/২০১৭ইং।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদের সড়ক অবকাঠানোর উন্নয়নের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১৬০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ হয়। সাতটি প্রকল্পের অধীনে বরাদ্দকৃত গমের মূল্য প্রায় ৪৬ লাখ ৩৯ হাজার ১৭১ টাকা ২০ পয়সা।
এ ছাড়া একই ত্রাণসূচির আওতাধীন হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৩৪টি প্রতিষ্ঠানে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০২ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতি প্রতিষ্ঠানের জন্য তিন টন করে বরাদ্দের এসব বাজার মূল্যে ধরা হয়েছে প্রায় ২৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪৭১ টাকা ৬৪ পয়সা।
এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহ যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেন। দুজনে মিলেমিশে ভুয়া প্রকল্প সৃজন করে প্রতারণা ও দুর্নীতির মাধ্যম ২৬২ মেট্রিক টন গমের বিপরীতে প্রায় ৭৫ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮২ টাকা ৮৪ পয়সা লুটপাট ও আত্মসাৎ করেন।
মামলার বাদী মকতুল হোসেন বলেন, হলদিয়াপালং ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠানো উন্নয়নের নামে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। কোথাও কোনো উন্নয়ন করা হয়নি। সরকারের বরাদ্দকৃত সব টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এসব বিষয়ে ঢাকা দুদকের প্রধান কার্যালয় মামলা করতে গিয়েছিলাম। দুদক কর্তৃপক্ষের পরামর্শে এ বিষয়ে গতকাল রোববার কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করি।
উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারে দুদকের আইনজীবী মো. সিরাজ উল্লাহ।
"