যশোর প্রতিনিধি
বাঁওড় নিয়ে বিরোধে প্রতিমা ভাঙচুর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
বাঁওড় (জলাশয়) নিয়ে দ্বন্দ্বে যশোরের মণিরামপুরে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে স্থানীয় একটি পক্ষ। গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মণিরামপুরের মশ্মিমনগর ইউনিয়নের রাজবাড়ী এলাকার মালোপাড়ার মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জামাল-আল আবু নাসের ও থানার ওসিসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এ ঘটনায় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করেছে।
মণিরামপুরের মশ্মিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, স্থানীয় একটি বাঁওড় নিয়ে ঝাঁপা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও সোনার বাংলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। ঝাঁপা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক সচিব এনআই খানের দুই ভাই হাবিবুর রহমান হাবিব খান ও কাবিল খান পক্ষ। আর সোনার বাংলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নেতা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলাও চলছিল। হাবিব-কাবিল পক্ষ বৃহস্পতিবার মামলায় জিতে গেছে এমন প্রচারণা থেকে শুক্রবার বিকেল থেকে বাঁওড় দখলে নিতে জড়ো হয়। এ পক্ষটি রাতে সশস্ত্র মহড়া দেয়। এক পর্যায়ে মৎস্যজীবীদের প্রধান এলাকা মালোপাড়ায় হামলা করে। সেখানে থাকা একটি মন্দিরের প্রতিমার হাত, গলা ভাঙচুর করা হয়। একই তথ্য দিয়ে একই ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার মিজানুর রহমান কাজী বলেন, এ ঘটনায় মালোদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মণিরামপুর থানার ওসি মোকারম হোসেন বলেন, এটা কোনো সাম্প্রদায়িকতা না। ঝাঁপা বাঁওড় নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। রাতে ভাঙচুর করা হয়েছে, তাই কে বা কারা ভাঙচুর করেছে সেটা নিশ্চিত নয়। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত ঝাঁপা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির পক্ষে রায় দেন। এর আগে সোনার বাংলার সদস্যরা সেটা ভোগ দখল করত। রায় পেয়ে ঝাঁপা মৎস্যজীবী সমিতি শুক্রবার বিকেলে বাঁওড়ে না নামতে মাইকিং করে। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। স্থানীয়রা দাবি করেছে, রাতে নাকি আবারও জড়ো হয় ঝাঁপা মৎস্যজীবী সমিতির লোকজন এবং তারা মন্দির ভাঙচুর করে। আর ঝাঁপা সমিতির লোকজনের ভাষ্য, তাদের ফাঁসানোর জন্য প্রতিপক্ষরা মন্দির ভাঙচুর করেছে। ঝাঁপা বাঁওড় সমবায় সমিতির পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া হাবিবুর রহমান খান বলেন, সোনার বাংলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি আদালতে হেরে গিয়ে এসব করছে।
"