নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ জুলাই, ২০১৭

রাজধানীতে দুই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা : গ্রেফতার ৫

রাজধানীর কদমতলীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলো জামাল খান পাটোয়ারী, রাজীব হাওলাদার, জাকির শিকদার, রফিকুল ইসলাম শামীম ও মফিজউদ্দিন সাগর। পুলিশের মতো, ধর্ষকরা ১৮ জুন পারুল বেগম এবং ১০ জুলাই ফরিদা বেগমকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এ ঘটনায় কদমতলী থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে দুটি হত্যা মামলা হয়। ক্লু-লেস ওই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের নাম বেরিয়ে আসে।

কদমতলী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃত পাঁচ আসামিকে সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত জামাল ও রাজীবের তিন দিন এবং অন্য তিনজনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ফরিদউদ্দিন জানান, গ্রেফতার হওয়া জামাল ও রাজীব বন্ধু। রাজীব ও নিহত পারুল আগে একটি কীটনাশক কোম্পানিতে চাকরি করতেন। পারুলের স্বামী লিটন একজন গাড়িচালক। মাঝেমধ্যে সে বাড়ির বাইরে থাকতেন। তা জানতেন রাজীব। রাজীব তার বন্ধু জামালকে বিষয়টি জানান। জামাল একজন পেশাদার চোর। দুই বন্ধু মিলে পরিকল্পনা করে স্বামীর অনুপস্থিতে বাসায় গিয়ে মালামাল চুরি করবে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রাজীব পারুলকে ফোন দিয়ে রাতে তার বাসায় বেড়াতে যাওয়ার কথা জানায় এবং বেড়াতে যায়। যাওয়ার সময় রাজীব ও জামাল পেয়ারা, আম, হালিম ও দুটি কোমলপানীয়ের (স্পিড) বোতল নিয়ে যায়। কৌশলে তারা হালিম ও কোমলপানীয়তে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। বাসায় গিয়ে গল্পের ছলে সেগুলো পারুলকে খাওয়ায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পারুল গভীর ঘুমে ঢলে পড়েন। পরে দুজনে পারুলকে ধর্ষণ করে। কিন্তু একাধিকবার ধর্ষণের একপর্যায়ে পারুল কিছুটা জ্ঞান ফিরে পেয়ে চিৎকার করতে চাইলে জামাল তার গলা চেপে ধরে আর রাজীব মুখ চেপে ধরে। মুখ ও হাত-পা বেঁধে ফেলে।

এরপর মৃত্যু নিশ্চিত হলে তারা পারুলের সোনার নাকফুল, ব্যবহৃত মুঠোফোন ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে নিহতের ভাই অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। প্রযুক্তির সহায়তায় দীর্ঘদিন পর রাজীব ও জামালকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিসি আরো জানান, শামীম ও সাগর ফরিদার সঙ্গে একই গার্মেন্টে চাকরি করত। ফরিদার স্বামী মারা যাওয়ার কারণে তিনি একা থাকার বিষয়ে তারা জানত। এ কারণে ফরিদার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সাগর, শামীম ও জাকির পরিকল্পনা করে। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে তারা ফরিদার বাসায় যায়। তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলে। একপর্যায়ে শামীম ফরিদাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর জাকির ও সাগর ফরিদাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ফরিদা চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে সাগরের সঙ্গে থাকা চাকু দিয়ে ফরিদাকে আঘাত করে। বাসায় থাকা শিলপাটা দিয়ে ফরিদার মাথায় আঘাত করে শামীম। ফরিদার গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে জাকির। পরে ফরিদার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা পালিয়ে যায়। ক্লু-লেস এ ঘটনাটিও প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে আসামিদের ধরা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist