বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ছাত্রলীগ সভাপতি সুমন হোসেন মোল্লাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি সুমন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি সুমনকে বহিষ্কার করে। এর আগে গত রোববার রাতে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সেরনিয়াবাত ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক উপজেলা ছাত্রলীগ থেকে তাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে চিঠি পাঠান। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সেরনিয়াবাত গণমাধ্যমকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন হোসেন মোল্লাকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। কেন্দ্র মৌখিকভাবে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এখন লিখিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অপেক্ষা। এর আগে রোববার বিকেলে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়েরের পর রাত সাড়ে আটটায় বরিশাল নগরের কালীবাড়ি রোড থেকে সুমন মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত শনিবার রাতে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সুমনের বিরুদ্ধে। নববধূর স্বামী অভিযোগ করেন, সুমন তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাকে এবং তার ফুফুকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন সুমন। বানারীপাড়া থানার পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সুমনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

"