শহীদুল ইসলাম, চারঘাট (রাজশাহী)
মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ বাহক মুজিবরের হাতে ভিক্ষার ঝুলি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তি সেনাদের সংবাদ বাহক যুদ্ধাহত মুজিবর এখন ভিক্ষুক। স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও তার দেশ প্রেমের স্বীকৃতি তিনি পাননি। পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য পথে পথে ভিক্ষার থলে নিয়ে ঘুরছেন মুজিবর। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মিয়াপুর গ্রামের মৃত কাজিমুদ্দিন সরকারের ছেলে মুজিবর রহমান সরকার (৭৫) স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তি সেনাদের সংবাদ বাহক হিসেবে কাজ করেছেন।
যুদ্ধাহত মুজিবর কান্না জড়িতকণ্ঠে জানান, যুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ২৮ বছর। স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তি সেনাদের বার্তা এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে পৌঁছে দিতেন। ১৯৭১ সালে বিজয়ের কিছু দিন আগে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা তাকে ধরে পাক সেনার হাতে তুলে দেয়। এরপর তার ওপর চলে আমানবিক নির্যাতন। তার বাম হাতের তিনটি আঙুল এবং রগকর্তন করে দেয়। যার ফলে তার শরীরের বাম অংশ বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি তখনকার মুক্তিযোদ্ধা এবং পরে পানিসম্পদমন্ত্রী ডা. আলাউদ্দিন এবং স্থানীয় রশিদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন বলে যুদ্ধাহত মুজিবুর দাবি করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার চারঘাট বাজারে মানুষের কাছে থেকে সাহায্য নিতে আসলে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপ কালে যুদ্ধাহত মুজিবর বলেন, চারঘাট-বাঘা আসনের সংসদ সদস্য এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রি শাহরীয়ার আলমের কাছে তার জীবনের ঘটে যাওয়া কষ্টের কথা এবং বর্তমান সময়ের জীবনযাপন দরখাস্তর মাধ্যমে জানিয়েছিলাম কিন্তু তার কোনো প্রতিফল পাইনি। তাই জীবন সায়াহ্নে যুদ্ধাহত মুজিবরকে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে বাঁচতে হচ্ছে।
"