প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
রাতে দেরিতে খেলেই বিপদ
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে লাইফস্টাইল, নতুন প্রজন্মের খাদ্যাভ্যাস বদলে যাচ্ছে। ঘুম থেকে উঠেই ক্যারিয়ারের পেছনে ছোটা। দিনভর ছুট, ছুট আর ছুট। খাওয়ার রুটিনটাই বদলে গিয়েছে। কিন্তু শরীর তো আর সে কথা শুনবে না। সে একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে। নিয়ম বদলালেই শরীরের দফারফা। তাই শরীর ঠিক রাখতে ঠিক সময়ে পরিমাণমতো খাওয়া আর রাতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। খবর জিনিউজের।
সম্প্রতি প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশি রাতে খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়লে খাবার হজম হয় না। ফলে, অম্বল, বুক জ্বালা, অস্বস্তি। বদহজমে বারবার ঘুমও ভেঙে যেতে পারে। ধীরে ধীরে ইনসমনিয়ার মতো রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। বেড়ে যায় স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, ক্রনিক অম্বল, গ্যাসের সমস্যা। বাড়বে রক্তচাপ। স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বাড়বে। রয়েছে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা।
এ ছাড়া বেশি রাতে খাওয়ার ফলে পরের দিন সকালে খিদে পাবে না। ফলে ব্রেকফাস্ট বাদ। একে বলে মর্নিং অ্যানোরেক্সিয়া। অথচ সারা দিনের খাওয়ার মধ্যে ব্রেকফাস্টই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাতে জাঙ্ক খাবার, মিষ্টি বা নোনতা খাবার বা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকটা বেড়ে যায়। ধীরে ধীরে শরীরে ফ্যাট জমা হবে। ওবেসিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বেশি রাতে খেয়েই ঘুম। ব্যস! ব্লাড প্রেসার বাড়বে। তাই রাত ১০টার মধ্যে খেয়ে নিতেই হবে। খেয়েই ঘুমিয়ে পড়া চলবে না। অন্তত দুই ঘণ্টা পর ঘুমোতে হবে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণা বলছে, বেশি রাতে ডিনার করলে স্মৃতিশক্তির ওপর প্রভাব পড়ে। ভবিষ্যতে অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগ হতে পারে। কিভাবে কমানো যাবে বেশি রাতে খাওয়ার প্রবণতা?
গবেষকদের দাবি-ভরপেট খাবার না খেয়ে একটু সালাদ, অল্প একটু গরম দুধ খাওয়া যেতে পারে। সহজপাচ্য শাকসবজি খাওয়াই ভালো।
"