চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামে ছিনতাইয়ে ‘অনিবন্ধিত’ অটোরিকশা, ‘সাংবাদিক’ পরিচয়
চট্টগ্রামে এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটির এক মার্কিন শিক্ষকের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজনকে গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারী অনিবন্ধিত অটোরিকশা নিয়ে ছিনতাই করে আসছিল। চলাচল সুবিধায় সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করত সেও তার চক্রের সদস্যরা।
গ্রেফতার মো. নাগর পন্ডিত এর আগেও ছিনতাই মামলা গ্রেফতার হয়। নাগর ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার ওসমানগঞ্জ এলাকার আবদুস ছালাম পন্ডিতের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার বাহির সিগন্যাল বেপারীপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে খুলশী এলাকায় এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটির মার্কিন শিক্ষক ডানা ম্যাকক্লেইনের কাছে থেকে বুধবার রাতে মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নিয়েছিল ছিনতাইকারীরা। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে ওই শিক্ষক খুলশী থানায় অভিযোগ দিলে তৎপর হয় পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে গোয়েন্দা সূত্রে পুলিশ ছিনতাইকারীদের পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারে।
এরপর বৃহস্পতিবার রাতে চান্দগাঁও থানার বাহির সিগন্যাল এলাকা থেকে অনিবন্ধিত অটোরিকশাসহ নাগর পন্ডিতকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তার কাছ থেকে ল্যাপটপ, আইপ্যাড, মোবাইলসহ ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি পরিচয়পত্রও উদ্ধার করা হয়েছে, যার একপাশে ‘মোহনা সংবাদ’ লেখা থাকলেও বিপরীতে ‘মোহনা টিভির লোগো’ আছে।
এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর-দক্ষিণ) হাসান মো. শওকত আলী বলেন, ছিনতাই করা মালামালগুলো নিয়ে নাগর বিক্রি করতে নিউমার্কেটে আসছিলেন। এ সময় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ছিনতাইয়ে নাগরের সঙ্গে আরো একজন অংশ নিয়েছিল। পলাতক ব্যক্তিটি ওই দিন অটোরিকশাটি চালিয়েছিল এবং নাগর পেছনে যাত্রী বেশে ছিল। তিনি আরো বলেন, নাগর ও পলাতক ব্যক্তি দুজনই সিএনজি চালক। উদ্ধার হওয়া অনিবন্ধিত অটোরিকশাটি তারা ছিনতাইকালে ব্যবহার করেছিল। চলাচলের সুবিধার্থে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার জন্য মোহনা টিভি লেখা একটি কার্ড সঙ্গে রেখেছিল তারা।
ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া মার্কিন শিক্ষক ডানা ম্যাকক্লেইন বলেন, প্রথমবারের মতো ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলাম। তবে ছিনতাই যেকোনো দেশে হতে পারে। এটা সব দেশের সমস্যা। কিন্তু এত দ্রুত পুলিশ ছিনতাইকারীকে ধরে মালামাল উদ্ধার করে ফেলবে তা ভাবতেও পারিনি। এ জন্য পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাদেশে আমি খুব নিরাপদ বোধ করি।
"