সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড
সরিষাবাড়ীতে আসামির লাশ
সরিষাবাড়ীতে গতকাল শুক্রবার সকালে আবদুল জলিল মিয়া (৩৫) নামের এক যুবকের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সেঙ্গুয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। জলিল একই গ্রামের নাজমুল হত্যা মামলার আসামি। গত বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে উপজেলা সদরে যাওয়ার পথে সে নিখোঁজ হয়। নিহতের পরিবারের দাবি, হত্যাকা-টি পূর্বপরিকল্পিত। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, আবদুুল জলিল মিয়া গত বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে উপজেলা শহরে যাওয়ার জন্য বের হয়। সকাল ১১টার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি। পরে গতকাল শুক্রবার সকালে জেলেরা সেঙ্গুয়া-বালিয়া বিলে মাছ ধরতে গিয়ে একটি মৃতদেহ দেখতে পায়। পরে পরিবারের লোকজন লাশ শনাক্ত করে। ওসি রেজাউল ইসলাম খান বলেন, ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের আগে হত্যাকা-ের কারণ বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।
থানা ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি সেঙ্গুয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত সংঘর্ষে নাজমুল হাসান (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়।
এ হত্যা মামলায় ৪নং আসামি ছিল আবদুল জলিল। জলিল মিয়ার স্ত্রী আয়শা খাতুন জানান, ‘প্রতিপক্ষরা তার স্বামীকে বিভিন্ন সময় ‘হত্যার বদলে হত্যা’ করার হুমকি দিয়ে আসছিল।’ নিহতের ভাই নুরী মিয়ার অভিযোগ, ‘তার ভাইকে সেঙ্গুয়া গ্রামের আল-আমিন, আরিফ মিয়া ও সাদ্দামসহ ৮-১০ মিলে বৃহস্পতিবার সকালে অপহরণ করে। পরে তাকে কুপিয়ে হত্যার করে লাশ বিলের পানিতে ফেলে যায়।’ হত্যাকারীরা জলিলের নাক ও কান কেটে নিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
"