ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
ঈশ্বরদীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক সন্ত্রাসী নিহত
ঈশ্বরদীতে পুলিশ ও মাদক সন্ত্রাসী চক্রের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে আলিয়া ভুলু (৪০) নামের এক মাদক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। নিহত বিহারি আলিয়া ভুলুর বাড়ি ঈশ্বরদীর ফতেমোহাম্মদপুর বিহারি বাজার এলাকায়। সে ঈশ্বরদীর কুখ্যাত মাদক কারবারি ছিলেন বলে পুলিশ দাবি করেছে।
অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) জহুরুল হক এ বিষয়ে জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তিনটি মোটরসাইকেলে করে আলিয়া ভুলুসহ কয়েকজন মাদক চোরাইচক্রের সদস্য পাকশী ইপিজেড সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পাকশী পুলিশ চেকপোস্টে তাদের থামানোর জন্য সিগন্যাল দেয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ ও গুলি ছোড়ে তারা। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। অন্য মাদক কারবারিরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে আলিয়া ভুলুকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ তাকে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, ঘটনাস্থল হতে একটি রিভলবার, তিন রাউন্ড গুলি ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। ঈশ্বরদী আমবাগান ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক আবদুল মজিদ জানান, নিহত আলিয়া ভুলুর বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। তিনি তালিকাভুক্ত ও এজাহারভুক্ত মাদক চোরাকারবারি।
উল্লেখ্য, আলিয়া ভুলু ঈশ্বরদীতে ১০-১৫ জন মাদক কারবারিকে সঙ্গে নিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন। এর আগে অনেকবার তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ মে আলিয়া ভুলুর স্ত্রী ফিরোজা বেগমকে প্রায় আট হাজার পিস ইয়াবাসহ পুলিশ গ্রেফতার করে। তিনি এখনো কারাগারে।
"