আদালত প্রতিবেদক
হোটেল জাকারিয়ায় ধর্ষণ
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আসামি শাহিনের
রাজধানীর বনানীর হোটেল জাকারিয়া ইন্টারন্যাশনালে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার মাহমুদুল হাসান শাহিন ওরফে জুয়েল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এক দিনের রিমান্ড শেষে শাহিনকে গতকাল রোববার আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে গত শুক্রবার তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর (সিএমএম) আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত বৃহস্পতিবার শাহিনকে গ্রেফতার করা হয়। মামলায় ওই তরুণী উল্লেখ করেন, তিনি কাফরুল একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। জুয়েল থাকেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায়। গত এক বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে জুয়েলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
এরই সূত্র ধরে গত বছরের ১৬ নভেম্বর জুয়েল ঢাকায় আসেন। পরে তারা দুজন ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে ঘুরে বেড়ান। কথা ছিল সেদিনই তারা কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করবেন। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত হয় পরদিন অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর তারা বিয়ে করবেন।
তরুণী মামলায় অভিযোগে করে লেখেন, ১৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মহাখালীর হোটেল জাকারিয়ায় নিয়ে যায় জুয়েল। সেখানে রিসিপশনে তাকে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাত রুমে নিয়ে যায়। রুমে নিয়ে জুয়েল জানায় একটা সমস্যা থাকার কারণে আজকে বিয়ে করা হচ্ছে না। তখন তিনি চলে আসতে চাইলে জুয়েল তাকে বেড় হতে না দিয়ে জোরপূর্বক আটকে রাখে। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় জুয়েল তাকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অনুরোধ জানায়। একপর্যায়ে দুজনের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরে তিনি ঘুমিয়ে যান। এই সুযোগে জুয়েল তার কিছু নগ্ন ছবি তুলে রাখে। এর পরদিন ১৮ নভেম্বর সকালে হোটেল থেকে তিনি চলে আসেন। এরপর একাধিকবার বিয়ের কথা বললেও জুয়েল তাতে রাজি হয়নি। উল্টো বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করে আবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। না করলে সেই নগ্ন ছবিগুলো ইউটিউব ও ফেসবুকে আপলোড করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যায়। মামলায় জুয়েলের বাবার নাম মৃত নজরুল ইসলাম, ঠিকানা কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ২নং রামগোপাল এলাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
"