বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
ফোনে কথা বলতে বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা
নাটোরের বড়াইগ্রামে শেফালী বেগমের বিরুদ্ধে তার স্বামী জহুরুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় জহুরুলকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জহুরুল উপজেলার জোয়াড়ি ইউনিয়নের নটাবাড়ীয়া এলাকার কালিরঘুন গ্রামের আবদুস সাত্তার বেপারীর ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, জহুরুলের স্ত্রী শেফালী মোবাইল ফোনে অন্য পুরুষের সঙ্গে কথা বলা নিয়ে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। কথা বলতে বাধা দেওয়ায় জহুরুলকে হত্যার হুমকি দেয় শেফালী-এমন অভিযোগ তুলে জহুরুল বড়াইগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
থানায় অভিযোগের পর শেফালী বাবাবাড়ি চলে যান। পরে গত বুধবার বিকেলে শেফালী মোবাইল ফোনে জহুরুলকে তার শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নেন। সন্ধ্যায় শেফালীর সঙ্গে জহুরুলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে প্রতিবেশীদের হস্তক্ষেপে তাকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় গোপনে তার স্ত্রীসহ আত্মীয়স্বজন পালিয়ে যান।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি এমরান হোসেন জানান, মৃতদেহের শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
"