কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ১৫ আগস্ট, ২০২০

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ পুলিশসহ ৭ জন র‌্যাব হেফাজতে

তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন

কক্সবাজারে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার আসামি চার পুলিশ সদস্যসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে র‌্যাব। এদিকে, সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলামকে গতকাল নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। শুরুতে র‌্যাব-১৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জামিল আহমদকে এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছিল। মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করা খাইরুল ইসলামকে এ দায়িত্ব দেওয়া হলো।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, নতুন তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম মেধা সম্পন্ন, দূরদর্শী ও বিচক্ষণ কর্মকর্তা। অতীতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে তিনি সুনাম ও সফলতার সঙ্গে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।

কক্সবাজারের জেল সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টায় র‌্যাবের গাড়িবহর কারাগারের পৌঁছানোর পরপরই চার পুলিশ সদস্যসহ সাতজনকে তাদের হেফাজতে দেওয়া হয়। চার পুলিশ সদস্য হলো এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন। অন্য তিনজন হলেন টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. নূরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজ।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। পুলিশ বলছে, সিনহা তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। পরে ‘পিস্তল বের করলে’ চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে।

পুলিশ এ ঘটনায় মামলায় সিনহার দুই সঙ্গীকে আসামি এবং নূরুল, নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজকে সাক্ষী করে। এদিকে সিনহার বোন ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশের মামলার তিন সাক্ষীকে আসামি দেখিয়ে গত সোমবার রাতে র‌্যাব গ্রেফতার করে।

এই তিনজন আর চার পুলিশ সদস্যকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে গত সোমবার আবেদন করেন সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫-এর সহকারী পরিচালক এএসপি জামিনুল হক। শুনানি শেষে গত বুধবার আদালত তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। ওসি প্রদীপসহ অন্য তিন পুলিশ সদস্যের রিমান্ড আবেদন আদালত মঞ্জুর করলেও কারাগার থেকে র‌্যাব তাদের এখনো হেফাজতে নেয়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close