পিরোজপুর ও বামনা প্রতিনিধি

  ১৫ আগস্ট, ২০২০

সহপাঠীদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ২ ছাত্রী ধর্ষণের শিকার

বরগুনার বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের সদ্য ভর্তি হওয়া একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহপাঠীদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলায় ঘুরতে এসে ধর্ষণের শিকার হয় তারা। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রী গতকাল শুক্রবার মঠবাড়িয়া থানায় চারজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেছে। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ এ ঘটনায় মো. আবু বক্কর সাগর নামে এক আসামিকে চড়খালী ফেরিঘাট থেকে আটক করেছে। পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের মাঝেরপুল নামক স্থানে এই শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের শিকার ওই দুই ছাত্রী জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য কাগজপত্র জমা দেন। জমা শেষে দুপুরে প্রতিবেশী সহপাঠী সোহাগ খান ও শাহাদাৎ নামে দুই সহপঠীকে নিয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলার হরিণপালা ইকোপার্কে ঘুরতে যাওয়ার জন্য মঠবাড়িয়ায় পৌঁছে। সেখান থেকে একটি ইজিবাইকে করে তারা হরিণপালার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। দুপুরের সময় তাদের বহনকারী ইজিবাইক উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের মাঝেরপুল নামক স্থানে নষ্ট হয়। এ সময় রানা, মারুফ ও সোহাগ তাদের জিম্মি করে। এরপর তাদের সঙ্গে আরো কয়েকজন যোগ হয়। পরে তাদের সঙ্গে থাকা সহপাঠী সোহাগ ও শাহাদাৎকে মারধর করে ওদের বেঁধে রাখে।

আসামিরা পরে স্থানীয় আর্শেদ মিয়ার বাড়ির সম্মুখে সরকারি পুকুর পাড়ে নিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে নিয়ে মারধর করে মোবাইল, টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে তাদের দুজনকে নির্জনে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়। মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান মিলু বলেন, এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় চারজনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ এরই মধ্যে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close