কলকাতা প্রতিনিধি

  ১৫ জুলাই, ২০২০

রাজস্থানে ঘর ভাঙল কংগ্রেসের, বলি পাইলট

বিদ্রোহের শাস্তি দেওয়া হলো কংগ্রেসের যুব নেতা শচীন পাইলটকে। রাজস্থানে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝেই রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী, প্রদেশ সভাপতি দুটি পদ থেকেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শচীনের সমর্থনে বিদ্রোহে যোগ দেওয়া আরো দুজন মন্ত্রীকেও তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোবিন্দ সিংকে রাজস্থান কংগ্রেসের নতুন প্রদেশ সভাপতি করা হয়েছে। এ দিনই রাজস্থানের রাজ্যপাল কালরাজের সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।

শচীন পাইলট, অশোক গেহলট সরকার ফেলার ষড়যন্ত্রে শামিল হয়েছেন এমনই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেসের মুখ্য মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। রাজস্থানে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাকে দলের আর এক শীর্ষ নেতা অজয় মাকেনকে পাঠিয়েছিল হাইকমান্ড। নিজের অবস্থান থেকে সরে এসে ফের দলীয় শৃঙ্খলা মানার জন্য শচীনকে দুবার সময় দিয়েছিল কংগ্রেস। দলের তরফে বলা হয়েছে, রাজস্থানে সরকার ফেলতে বিজেপির পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন শচীন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট তাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছেন এমন অভিযোগে দলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন শচীন পাইলট। শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নালিশ জানাতে দিল্লিতে যান তিনি। তার সমর্থনে তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েকজন বিধায়কও। এরপরই মরু রাজ্যে, রাজস্থানে সরকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তড়িঘড়ি পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকে সংখ্যা খতিয়ে দেখে নেন গেহলট। হুইপ জারি করে সব কংগ্রেস বিধায়কদের সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। উপযুক্ত কারণ ছাড়া উপস্থিত না থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিল শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে সেই বৈঠকে যোগ দেননি শচীন। এরপর ফের তাকে বৈঠকে যোগ দেওয়ার দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়া হয়। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছিল, আগে শচীন বৈঠকে যোগ দিন, তারপর তার সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। তাঁর অভিযোগ শোনা হবে। তবে সেই বৈঠকেও হাজির হননি রাজস্থানের যুব নেতা। এরপর মঙ্গলবার তাকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস। প্রদেশ সভাপতির পদও কেড়ে নেওয়া হয় শচীনের থেকে।

দলের প্রবীণ নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করে শচীন পাইলট দিল্লি আসার পর চতুর্থ দিনে এসে নাটকীয় মোড় নিল রাজস্থানের রাজনৈতিক টানাপড়েন। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় দলের ১০২ জন বিধায়ককে হোটেলবন্দি করে কংগ্রেস।

২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় যা ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে বেশি। এর পর এক দফা পরিষদীয় দলের বৈঠক করে কংগ্রেস। তার দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে শচীন পাইলটকে জয়পুরে ফিরে ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দলের হাইকমান্ড। কিন্তু তাতে কার্যত কর্ণপাত করেননি শচীন পাইলট।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close