নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ জুন, ২০২০

রাজধানীর কবরস্থানে দাফন বেড়ে দ্বিগুণ

দেশে করোনায় মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। রাজধানীর কবরস্থানগুলোতে মে মাসের তুলনায় দাফন হয়েছে দ্বিগুণ। একই অবস্থা ঢাকার আশপাশের জেলাতেও। করোনায় দাফনের সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলো বলছে, আগের চেয়ে বেশি লাশ কবর দিচ্ছেন তারা। কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়করা জানান, করোনা সতর্কতায় দীর্ঘদিন যান চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকার বাইরে যেতে না পারায় এই কবরস্থানগুলোতে দাফন বেড়েছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পাঁচ মাসে ঢাকার দুই সিটিতে গত বছরের চেয়ে দাফনের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ। সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাদের ধারণা, লকডাউনে ঢাকার বাইরে লাশ নিতে না পারা এবং করোনার কারণেই ঢাকার কবরস্থানে দাফন বেড়েছে। করোনায় বা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দাফনে কাজ করা সংগঠনগুলো বলছে, দিনে আগে ১০-১৫ জনের লাশ দাফন করলেও এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০-৫০ জনে। ঢাকার আশপাশের জেলার চিত্রেও খুব বেশি ফারাক নেই। মে মাসে এসব কবরস্থানে দাফন হয়েছে, আগের মাসের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ লাশ। রাজধানীসহ আশপাশের জেলার শ্মশানেও প্রায় দ্বিগুণ সৎকারের সংখ্যা।

রায়েরবাজার কবরস্থানে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে করোনায় মৃতদের দাফনের জায়গা। জুনে এখানে দাফন হয়েছে ২৯২ জন, এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ১৪৮। এখানে করোনায় মৃতদের দাফন শুরু হয় ৩০ এপ্রিল থেকে। অর্থাৎ দেড় মাসে কবর দেওয়া হয়েছে ৪৪৩ জনকে। করোনা ছাড়া সাধারণ দাফনও বেড়েছে। গত বছরের মে মাসে রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন হয়েছিল ১৯৪ জনের। সেখানে এবার মে মাসে দাফন হয় ২৭২ জন। রাজধানীর অন্যতম বড় কবরস্থান আজিমপুর। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানসহ বিশিষ্ট পাঁচ ব্যক্তির দাফন হয়েছে এখানে। ২০১৯ সালে ৮ হাজার ৮০০ জনের কবর হলেও এবার প্রথম পাঁচ মাসেই দাফন হয়েছে ৪ হাজার ২০০ জনের। ঢাকা উত্তরের খিলগাঁও তালতলা কবরস্থান এবং রায়েরবাজার কবরস্থানে করোনায় মৃতদের দাফনের অনুমতি রয়েছে। এই দুই কবরস্থানে ১০০ দিনে ৬১৯ লাশ দাফন হয়েছে। পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত ১৫ বিশিষ্ট নাগরিকের দাফন হয়েছে আরো তিন কবরস্থানে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close