আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১০ জুন, ২০২০

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে

আরো খারাপ হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি

উপসর্গহীন আক্রান্তরা সংক্রমণ ছড়ায় না

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসাস বলেছেন, বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি দিন দিন আরো খারাপ হচ্ছে। যদিও এ মুহূর্তে ইউরোপের পরিস্থিতি কিছুটা ভালোর দিকে। তবে মহামারির ছয় মাস পার হলেও এখনই লকডাউনসহ বিধিনিষেধ শিথিলের সময় আসেনি। গত সোমবার জেনেভায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডব্লিউএইচও প্রধান।

আক্রান্তের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ১০ দিনের ৯ দিনই প্রতিদিন এক লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত রোববার শনাক্ত রোগীদের ৭৫ শতাংশই পাওয়া গেছে মাত্র ১০ দেশে। এরমধ্যে আবার বেশির ভাগই লাতিন আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশ।

এদিকে করোনার বিস্তার ঠেকাতে দেশে দেশে জারি হওয়া লকডাউন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এরই মধ্যে শিথিল করতে শুরু করেছে অনেক দেশ। তবে এতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে বলে হুশিয়ারি দিয়ে গ্যাব্রিয়েসাস বলেন, যেসব দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, সেখানে এখন সবচেয়ে বড় হুমকি আত্মতুষ্টি।

বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ এখনো করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, মহামারির ছয় মাসেরও বেশি সময় গেছে। তবে কোনো দেশের জন্য এখনো প্যাডেল থেকে পা তুলে নেওয়ার সময় আসেনি। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকান্ডের জেরে চলা বিক্ষোভ থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গ্যাব্রিয়েসাস বিক্ষোভকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষানীতি মেনে আন্দোলনে যাওয়ার আহ্বান জানান।

এদিকে, উপসর্গ নেইÑ এমন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে সংক্রমণ ছড়ায় না। যদি ছড়ায় সে ঘটনা ‘খুবই বিরল বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইমার্জিং ডিজিজ বিভাগের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখভ। করোনাভাইরাস আবির্ভাবের পর প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে বলা হয়, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, তা করোনা পজিটিভ ব্যক্তি উপসর্গহীন হলেও ছড়ায়। এরপর গত সোমবার এ নিয়ে ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে নতুন করে এই তথ্য বলা হলো।

মারিয়া ভ্যান জানান, কয়েকটি দেশের পরিসংখ্যান ও তথ্য থেকে এমন ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না, এ বিষয়ে আরো গবেষণা প্রয়োজন। সরকারের উচিত এখন করোনা শনাক্তকরণের ওপর জোর দেওয়া এবং করোনায় আক্রান্ত উপসর্গ ব্যক্তিদের আইসোলেশনে রাখা। সেই সঙ্গে যারা আক্তান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছে, তাদের চিহ্নিত করা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close