কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ০৬ জুন, ২০২০

কক্সবাজার জেলাকে ৩ জোনে বিভক্ত পৌরসভার ১০ ওয়ার্ড ‘রেড জোন’

কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কক্সবাজার পৌর শহরসহ জেলার করোনা সংক্রমিত এলাকাগুলো ম্যাপিং করে ‘রেড জোনে’ বিভক্ত করা হয়েছে। শুধু কক্সবাজার পৌর এলাকাকেই দুটি জোনে ভাগ করা হয়েছে, যার মধ্যে পৌরসভার ১০টি ওয়ার্ডই ‘রেড জোনে’ পড়েছে। এই রেড জোনে ৬ জুন থেকে প্রাথমিকভাবে আগামী দুই সপ্তাহ কঠোর লকডাউনে থাকবে। প্রয়োজনে সেই লকডাউন আরো দুই সপ্তাহ বাড়ানো হবে। সূত্র মতে, ‘রেড জোন’ চিহ্নিত এলাকায় বাইরের কোনো লোক ঢুকতে পারবে না। ওইসব এলাকার কোনো লোক বাইরেও যেতে পারবে না।

সূত্রের দাবি, ওইসব এলাকায় লকডাউন চলাকালে প্রয়োজনে গরিব, অসহায়, দুস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষকে সরকারিভাবে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. কামাল হোসেনও সংবাদমাধ্যমে এমনতর তথ্য দিয়েছেন। জেলা প্রশাসকের মতে, শুধু জরুরি কাজে থাকা ব্যক্তিরা ‘রেড জোনে’ সীমিত আকারে আসা-যাওয়া করতে পারবেন।

করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এমন কঠোর অবস্থান নেওয়া হচ্ছে বলেও মনে করছেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসন সূত্রমতে, গত বৃহস্পতিবার ৪ জুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুধু ১ নাম্বার ও ১২ নাম্বার ওয়ার্ডকে ‘ইয়োলো জোন’ এবং অবশিষ্ট ২ নাম্বার ওয়ার্ড থেকে ১১ নাম্বার ওয়ার্ড মোট ১০টি ওয়ার্ডকে অতিমাত্রায় করোনা সংক্রমণ এলাকা হিসেবে ‘রেড জোনে’ চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে কক্সবাজার পৌর এলাকার কোনো জোনকে গ্রিন জোন হিসেবে রাখা হয়নি।

সূত্র জানিয়েছে, পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কমিটি থাকবে। কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলররা কমিটির প্রধান হবেন। প্রতি ওয়ার্ড থেকে যুবক, ছাত্র, সমাজকর্মী নিয়ে একটি করে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হবে। কমিটিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট, সেনাবাহিনীর সদস্য, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করবে।

কক্সবাজার পৌরসভার যে দুটি ওয়ার্ডকে ‘ইয়েলো জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ওই দুটি এলাকায় করোনা সংক্রমণ এখনো সহনীয় মাত্রায় আছে। তাই ওই দুই ওয়ার্ডে সবকিছু সীমিত আকারে চলবে, তবে সবার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অন্যান্য নির্দেশনা মানতে বাধ্য করা হবে ওইসব ওয়ার্ডের অধিবাসীদের। কক্সবাজার পৌরসভার যে ১০টি ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে; সেসব এলাকায় কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে। ওইসব এলাকার মানুষ এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না, বাইরের কেউ ওইসব এলাকায় ঢুকতে পারবেন না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবকিছুই লকডাউন থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখানে কঠোরতা দেখাবে।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিবেচনায় কক্সবাজার জেলাকে তিনটি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এই জোন ম্যাপিংয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। জেলার ৮টি উপজেলায় ইউনিয়নভিত্তিক ও চারটি পৌর এলাকায় ওয়ার্ডভিত্তিক ম্যাপিং করে ৩টি কালারে বিভক্ত করে এই জোন গঠন করা হয়েছে। এই জোনগুলো হলো রেড বা লাল, ইয়েলো বা হলুদ এবং গ্রিন বা সবুজ। জেলার যেসব এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মাঝারি পর্যায়ে আছে; সেসব এলাকা ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়াও জেলার যেসব এলাকা এখনো করোনাভাইরাসের গ্রাস থেকে মুক্ত আছে; সেসব এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close