নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ এপ্রিল, ২০২০

ঝুঁকি জেনেও রোজগারের খোঁজে শ্রমজীবী মানুষ

করোনার কম-বেশি প্রভাব পড়ছে সব মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে। এমন পরিস্থিতিতে আরো কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষদের। কারণ সংক্রমণ কমাতে বাধ্য হয়েই দিনের পর দিন থাকতে হচ্ছে ঘরে। ফিকে হয়ে গেছে তাদের কর্মচাঞ্চল্যে মুখরিত থাকা জায়গাগুলো। যদিও শত অনিশ্চয়তার মাঝে কেউ কেউ বেরিয়ে পড়ছে রোজগারের খোঁজে।

মাত্র কদিনের ব্যবধানে নিত্য কোলাহলে ভরা রাজধানী রূপ নিয়েছে নিস্তব্ধতার এক শহরে। বদলে যাওয়া, অচেনা এ নগরীতে এখন বেঁচে থাকার লড়াইটাও যেন পাল্টে গেছে। অন্যদিনগুলো আর তাইতো সবজি বিক্রেতা রিপন এখন প্রথববারের মতো বাঙি নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায়।

এ অপেক্ষা জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার এ অপেক্ষা নিজের ও পরিবারের জন্য দুটো পয়সা রোজগারের। তাই শত অনিশ্চয়তার মাঝেও নতুন উপায়ে উপার্জনের খোঁজে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছেন নগরীর প্রাণহীন পথে।

রাজধানীর কোলাহলপূর্ণ জায়গাগুলো থমকে আছে হকারদের হাঁকডাক আর কর্মচাঞ্চল্যে মুখর থাকা এলাকাও নিশ্চুপ।

কিন্তু উপায় নেই, বাঁচার জন্য যে এখন থাকতে হবে ঘরে।

খবরের কাগজ বিক্রেতা আবদুর রশিদ নিজেই এখন খবরের মাঝে। জনশূন্য ফুটপাতে কেইবা কিনবে খবর। এমন বাস্তবতায় তার দৈনিক আয় নেমেছে তিন ভাগের এক ভাগে।

দুই দশকেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতায় কখনো এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি কলা বিক্রেতা মোবারক হোসেনের। তাই দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ক্রেতার উপস্থিতি দিচ্ছে কিছুটা স্বস্তি।

যাত্রীর খোঁজে শহরের এপথ ওপথ ঘুরছেন রিকশাচালক। উপায় না পেয়ে কেউবা আবার বন্ধ রেখেছেন চাকা। যেন ঘুমিয়ে আছে পৃথিবী। সংকট পাড়ি দিয়ে আবারো জেগে উঠবে গোটা পৃথিবী এমন প্রার্থনা মেহনতি মানুষের সবার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close