নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১১ এপ্রিল, ২০২০

ডিইউজের বিবৃতি

সাংবাদিকদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ না নিলে কাজে বাধ্য করা যাবে না

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু এক বিবৃতিতে বলেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বিস্তার ঘটায় গণমাধ্যম, বিশেষ করে সংবাদপত্র, টেলিভিশন, ডিজিটাল নিউজ পেপার, বার্তা সংস্থার সাংবাদিক-কর্মচারীদের কর্তব্য পালন হুমকির মুখে পড়েছে। এরই মধ্যে তিনজন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের শরীরে কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ অবস্থায় গোটা গণমাধ্যম পরিবারে তীব্র উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে, অজানা আতঙ্ক।

গতকাল শুক্রবারের এ বিবৃতিতে, আরো বলা হয়, এ কথাও কারো আজানা নয়, বেশির ভাগ গণমাধ্যমে বেতন-ভাতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধাদি অনিয়মিত। স্বাস্থ্যঝুঁকির কোনো ধরনের নিরাপত্তা নেই। নেই পরিবহন সুবিধাও। তারপরেও, পাঠক চাহিদা, প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুণœ রাখা এবং রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকে সংবাদকর্মীরা কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু বর্তমান নাজুক পরিস্থিতিতে সংবাদকর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রকে নতুন করে জরুরিভাবে চিন্তা করতে হবে।

বিবৃতিতে ডিইউজের এই দুই নেতা বলেন, যদি রাষ্ট্র ও গণমাধ্যমের মালিকানা প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ, স্বাস্থ্যঝুঁকির নিরাপত্তা ও করোনা উপযোগী পরিবহন সুবিধা করতে না পারে, তাহলে কোনো অবস্থাতেই সাংবাদিকদের কাজে বাধ্য করাতে পারবে না। একই সঙ্গে ডিইউজে নেতারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদ্যদের চিকিৎসা ব্যয়সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে বহনের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে করোনা দুর্যোগের সময়ে হোটেল-রেস্টুরেন্ট খোলা না থাকায় অফিসের অভ্যন্তরে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে সব সাংবাদিক ও কর্মীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানান নেতারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close