নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৫ এপ্রিল, ২০২০

ডিএমপির উত্তরা বিভাগ

রেশন-বেতনের টাকায় প্রতিদিন ৫০০ জনকে খাবার

করোনার কারণে কাজ না পেয়ে অসহায় হয়ে পড়া ৫০০ ছিন্নমূল ও দুস্থ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগ। নিজেদের রেশন এবং বেতনের অর্থের মাধ্যমে এই খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এজন্য ৫০০ জন দুস্থ ও অসহায় মানুষকে নির্বাচিত করে প্রত্যেককে টোকেন দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে টোকেনের ঠিকানা অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।

পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, করোনা দুর্যোগের সময় মানুষ হিসেবে আমরা অসহায় মানুষের পাশে সামর্থ্য অনুযায়ী দাঁড়াবার চেষ্টা করছি। এছাড়া খাবারে অভাবে অনেকেই ছোটখাটো অপরাধে জড়াতে পারে, সেজন্য ছিন্নমূল মানুষের জন্য একবেলা খাবারের ব্যবস্থা করছি। এতে ছিন্নমূল মানুষের উপকারও যেমন হচ্ছে, তেমনি অপরাধ নিয়ন্ত্রণেও কাজ হচ্ছে।

পুলিশের উত্তরা বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, করোনার এই দুর্যোগের সময় প্রথম দফায় ১০ দিন সারা দেশ লকডাউন অবস্থায় আছে। করোনা থেকে সুরক্ষার স্বার্থে সবকিছু বন্ধ রাখা হয়েছে। এ সময়ে ছিন্নমূল মানুষরা সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে। তারা খাবার না পেলে চুরি-ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য অন্তত একবেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পারলে পাশে দাঁড়ানো ও অপরাধ দমন দু-ই দমনে কাজই হবে। তাই উত্তরা বিভাগের ছয়টি থানা এলাকায় ১০০ জন প্রকৃত অসহায় মানুষের তালিকা করা হয়েছে। প্রতিদিন রান্না করে ছয়টি থানায় ১০০ জনের খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। থানা থেকে সেই খাবার তালিভুক্তদের কাছে পৌঁছানো হয়।

ডিএমপির উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণখান জোন) হাফিজুর রহমান রিয়েল বলেন, এই দুর্যোগের সময়ে সবারই গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য তা সাধ্য অনুযায়ী পালনের চেষ্টা করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close