করোনাভাইরাস দেখা দেওয়ায় গত ২৫ মার্চ থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ। এর ফলে ওই দেশে আটক পড়েছেন প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সর্বশেষ তথ্য মতে এই হিসাব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১ হাজারের বেশি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আটকা পড়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা আর্থিক বা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে হাইকমিশন ও অন্য মিশনগুলো তা সমাধানে সচেষ্ট আছে। পরিবেশ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভারতসহ অন্যান্য দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’ এ অবস্থায় দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনগুলো বাংলাদেশিদের কল্যাণে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখছে এবং মিশনের কর্মকর্তারা আটকা পড়া ২ হাজার ৫০০ জন বাংলাদেশির সঙ্গে বিভিন্নভাবে টেলিফোন, হটলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

কোভিড-১৯ এর ব্যাপ্তি রোধকল্পে ভারত সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো ধরনের বিদেশি (প্রবাসী ভারতীয়সহ) ১৪ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ভারত থেকেও কোনো বিদেশি নাগরিকের বহির্গমন নিরুৎসাহিত করছে। এছাড়া ভারতের আন্তঃরাষ্ট্রীয় যোগাযোগ ব্যবস্থাও এ মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে। চিকিৎসা, পর্যটন, শিক্ষাসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নাগরিক প্রতি বছর ভারতে যান।

"