কলকাতা প্রতিনিধি

  ৩১ মার্চ, ২০২০

ভাইরাসের থেকেও বড় সমস্যা আতঙ্ক

ভারতের উচ্চ আদালত

করোনাভাইরাস নিয়ে যে পরিমাণ আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তা ভাইরাসের থেকেও বেশি ক্ষতিকর। গতকাল সোমবার এমনই মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে। লকডাউনের কারণে হাজার হাজার শ্রমিক ঘরে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করছেন, তার জেরেই এই মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে যেকোনো উপায়ে ঘরে ফেরার চেষ্টায় পথে নেমেছেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক, যারা অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করেন। এই শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের আরজি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দুটি মামলা হয়। মামলা দুটির শুনানিতেই এই মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। সরকার এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। সে কারণে এখনই এই ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হননি শীর্ষ আদালত। শ্রমিকদের সমস্যা মেটাতে, যে যে পদক্ষেপের আবেদন করা হয়েছে, তার অনেকগুলো প্রশাসন ইতোমধ্যেই করেছে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। আগামী বুধবার এ মামলার পরবর্তী শুনানি।

এদিকে পেটের দায়ে ভিন্ন রাজ্যে গিয়েছিলেন, বিশেষ বাসে করে বিহারে ফেরানো হয়েছে। সেই শ্রমিকদের আটকে রাখতে দেখা গিয়েছে। তারা কাঁদছেন ও মুক্তির জন্য প্রার্থনা করছেন। নির্বাচনী কৌঁসুলি প্রশান্ত কিশোর এমন এক ভিডিও শেয়ার করেছেন টুইটারে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিহারের অভিবাসী শ্রমিকদের আটকে রাখা হয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে অভিযুক্ত করে তিনি একে ভীতিপ্রদ ছবি বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি টুইট করেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি থেকে মানুষকে মুক্ত করতে সরকারি প্রচেষ্টার আরো এক ভীতিপ্রদ ছবি। গরিব অভিবাসী যারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু কষ্টে ফিরেছেন, তাদের সামাজিক দূরত্ব ও কোয়ারান্টাইনের জন্য এমন হৃদয় বিদারক বন্দোবস্ত করেছেন নীতীশ কুমার। জানা যাচ্ছে, ভিডিওটি বিহারের রাজধানী পটনা থেকে ১৩০ কিমি দূরে, উত্তর প্রদেশের সীমান্তবর্তী সিওয়ানের। সাংবাদিককের মুখে রুমাল বাঁধা এক শ্রমিক জানাচ্ছেন, সকাল থেকে বলেছে ছেড়ে দেবে, বাস আসছে। কিন্তু কোনো বাসই আসেনি। শ্রমিকদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের বক্তব্য, এসব অভিবাসী শ্রমিকের স্বাধীনভাবে ঘুরতে দেওয়া যাবে না। সিওয়ানের পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট অভিনব কুমার জানিয়েছেন, অনেক ফরম্যালিটি থাকে। যেমনÑ প্রত্যেকের বিস্তারিত বিবরণ নেওয়া, তাদের মেডিকেল স্ক্রিনিং করা ও খাদ্য সরবরাহ করা। ছেড়ে দেওয়ার আগে এগুলো করতে সামান্য সময় তো লাগবেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close