নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৬ জানুয়ারি, ২০২০

জোর করে বুথে ঢুকে জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে

সাবেক নির্বাচন কমিশনার

ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ সহজ হলেও জোর করে কেউ বুথে ঢুকে জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ। তাই ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের সময় এই দিকটির দিকে নজর রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোট গ্রহণ নিয়ে গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম নামের একটি সংগঠন। ৩১টি নিবন্ধিত ও ২৫টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান যুক্ত রয়েছে এই ফোরামে। এবারের নির্বাচনে ১০টি সংগঠনের ৫০০ পর্যবেক্ষক দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ আবেদ আলী।

কর্মশালায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ বলেন, বর্তমানে যে ইভিএম পদ্ধতি চালু হয়েছে, প্রযুক্তির আধুনিকায়নের এই যুগে তা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইভিএম নিয়ে যা শোনা যাচ্ছে তা হলো একজন ভোটারের ভেরিফিকেশন হওয়ার পর অন্য কেউ দৌড়ে বুথে ঢুকে ভোট দেওয়ার আশঙ্কা। পর্যবেক্ষকদের এই দিকে নজর রাখতে হবে।

‘ইভিএম নিয়ে এই মুহূর্তে সমালোচনাকারীদের এটাই সবচেয়ে বড় অভিযোগ। তাই পর্যবেক্ষকদের এই দিকে দৃষ্টি দিতে হবে,’ বলেন তিনি।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ পর্যবেক্ষকদের একটি কেন্দ্রে দীর্ঘ সময় বসে না থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘোরার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘কেউ অন্যায় ও অবৈধভাবে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করছে কি না, পর্যবেক্ষকদের কাজ হবে সেই বিষয়টি দেখা। এই ক্ষেত্রে কখনই বিতর্কে জড়ানো যাবে না। পর্যবেক্ষকদের কিছু বলার থাকলে তা বলতে হবে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে।’

কর্মশালায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকেরই কোনো না কোনো দলের প্রতি সমর্থন থাকতে পারে কিন্তু একজন নির্বাচন পর্যবেক্ষককে দায়িত্ব পালনের সময় দল বা পক্ষ ভুলে যেতে হবে। কোনো প্রার্থীর প্রতিনিধির সঙ্গে খুব সখ্য দেখানো যাবে না।

ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে রিয়াজুল বলেন, নতুন এই প্রযুক্তি নিয়ে ব্যাপক প্রচারণার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা খুব একটা দেখা যায়নি। পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কমিশন আপনাদের জন্য একটি গাইডলাইন ঠিক করেছে। সর্বদা তা অনুসরণ করেই কাজ করতে হবে। অন্যথায় নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশনের মনির হোসেন বলেন, পর্যবেক্ষকদের দেখা এবং সেই অনুযায়ী কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার বাইরে আর কোনো কাজ নেই।

সুলতানা রাজিয়া নামের একজন বলেন, অনেকে বিভিন্ন সময় প?র্যবেক্ষণ সংগঠনগুলোর কাছে পরিচয়পত্র নেওয়ার জন্য ধর্না দেন।

‘তারা অন্যের কার্ডের ছবি পরিবর্তন করে প?র্যবেক্ষক হতে চান। পর্যবেক্ষণের নামে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অশুভ ইচ্ছা অনেকের থাকে। এ ধরনের লোককে পর্যবেক্ষক করা হলে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হতে পারে।’

খন্দকার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করার চেষ্টা করবেন না। নির্বাচন শুরুর আগে কিছু দাফতরিক কাজ হয়। সেগুলো দেখার জন্য পর্যবেক্ষকদের সকাল ৮টার আগেই কেন্দ্রে যেতে হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close