জাতিসংঘের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি বলেছেন, রাখাইনে সশস্ত্র সংঘাত দিন দিন বাড়ছে। রাখাইনের চলমান সহিংসতা নিরসন-পূর্বক স্বস্তি ফিরিয়ে এনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরিতে জাতিসংঘ কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাতটি রোহিঙ্গা সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন ইয়াং হি লি। বৈঠক শেষে বেরিয়ে রোহিঙ্গাদের নতুন সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল ইউনিয়নের (এআরএনইউ) চেয়ারম্যান মাস্টার আবদুর রশীদ বলেন, আমরা ইয়াং হি লির কাছে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ কি, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে গত আড়াই বছরে জাতিসংঘের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। বৈঠকে অংশ নেওয়া রোহিঙ্গা স্টুডেন্ট নেটওয়ার্কের নেতা সৈয়দ উল্লাহ জানান, রাখাইনে সংঘাতের কারণে গত আড়াই বছরে অন্তত দুই লাখ রোহিঙ্গা ছাত্রছাত্রী তাদের মৌলিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। এসব রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা ইয়াং হি লি-এর কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দ্রুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফিরে যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানানো হয়েছে বলে তারা জানান। গতকাল সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলা পৃথক বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন এআরএনইউর চেয়ারম্যান মাস্টার আবদুর রশীদ, ভাইস চেয়ারম্যান মাস্টার নুরুল আলম, মাস্টার ইলিয়াসসহ সাতজন, রোহিঙ্গা শান্তি মহিলা কমিটির হামিদা বেগম, সেতারা বেগমসহ ছয়জন, ভয়েস অব রোহিঙ্গার রিদুয়ান, শামসুল আলমসহ পাঁচজন, রোহিঙ্গা ওমেন অ্যান্ড নেটওয়ার্কের উম্মে কুলসুম, ইয়াছমিনসহ পাঁচজন, রোহিঙ্গা রিফুউজি কাউন্সিলরের সিরাজুল মোস্তফাসহ পাঁচজন, রোহিঙ্গা ইয়ুথ ফর লিগ্যাল অ্যাকশনের শফিক, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা স্টুডেন্ট ইউনিয়নের আবসারসহ ছয়জন।

উখিয়ার কুতুপালং মেগা-১৭ নম্বর ক্যাম্পের সরকারি অফিসের কনফারেন্স হলে রোহিঙ্গা সংগঠনগুলোর সঙ্গে পৃথক রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে সম্প্রতি মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে কুতুপালং মেগা বিভিন্ন ক্যাম্প আশ্রয় নেওয়া ৬৩ জন রোহিঙ্গার মধ্য থেকে পাঁচজন রোহিঙ্গার সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করেন ইয়াং হি লি। এরপর তিনি সীমান্তের তুমব্রু কোনার পাড়া জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

"