শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার

  ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

কক্সবাজারে ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক উন্নয়ন

কক্সবাজার পর্যটন শহরের জিরো পয়েন্ট হলিডে মোড় থেকে পূর্ব দিকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কটি দুই লেইনে করা হচ্ছে। পাকিস্তান আমলে সড়কটির জন্য যে মাপে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (কউক) সেভাবেই সরড়কটি উন্নয়ন করবে। এজন্য সড়কটির প্রসস্থকরণ, সৌন্দর্যবর্ধন ও নির্মাণকাজ শুরুর আগে অধিগ্রহণ ম্যাপ ও ড্রয়িং নিয়ে পরিমাপ করে সড়কের নির্মাণকাজ শুরু করবে কউক। এতে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯৮ কোটি টাকা। সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি এরই মধ্যে একনেকে পাস হয়েছে। একনেকে পাস হওয়া প্রকল্পটি পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল (পিপিআর) অনুযায়ী টেন্ডার আহ্বান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে কউক সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, পর্যটন শহরের যানজট নিরসন, সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তার মধ্যে পর্যটন শহরের জিরো পয়েন্ট হলিডে মোড় থেকে পূর্ব দিকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কটি ১০০ ফুট প্রস্থে দুই লেইনে করার প্রকল্পটি অন্যতম।

সরকারের যুগ্ম সচিবের মর্যাদা পাওয়ায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার প্রধান সড়কের হাশেমিয়া কামিল মাদরাসা থেকে পূর্ব দিকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত অংশ ১০০ ফুট প্রস্থে দুই লেইনে সড়কটি প্রশস্ত করা হবে। এতে ২৯৮ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে। একনেকে পাস হওয়া প্রকল্পটি পাবলিক পকিউরমেন্ট রুল (পিপিআর) অনুযায়ী টেন্ডার বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। টেন্ডারের পর যত দ্রুত সম্ভব এ সড়কটির কাজ শুরু করা হবে।

কউক চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ আরো বলেন, সাড়ে তিন বছর আগে কউকের চেয়ারম্যান নিয়োগ পাওয়ার পর একটি প্লাস্টিকের টেবিল নিয়ে বর্তমান বিয়াম ভবনের উঠানে অফিস শুরু করেছিলাম। সেখানে জনবল ছিল মাত্র ছয়জন। কউকের করুণ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে প্রকৌশলী, স্থপতি, পরিকল্পনাবিদ, নকশাকার, সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২৪০ জন জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। এসব জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ২৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন কউক ভবন এখন দৃশ্যমান। এটিই হবে কক্সবাজারের সবচেয়ে বৃহত্তম অফিস ভবন। কউকের উপনগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সদরের খুরুস্কুলে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমির পূর্ব পাশে স্মার্ট শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

এছাড়াও রামু উপজেলার চেইন্দাতে খাস জমির ওপর প্লট নির্মাণ করা হবে। এলাকার ভূমি ব্যবহারের অনুমতি ও বাড়িঘর নির্মাণের জন্য বিধিমতে, কউক থেকে প্ল্যান ডিজাইন পাস করে দেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close