জাবি প্রতিনিধি

  ২২ নভেম্বর, ২০১৯

জাবির আন্দোলনকারীদের ঘোষণা

তিন দফা দাবিতে শাহবাগে সমাবেশ কাল

বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ‘দাবি না মানায়’ হল ভ্যাকেন্টের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’-এর সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন এই ঘোষণা দেন। শনিবার বিকাল ৩টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই সমাবেশ হবে বলে তিনি জানান।

অধ্যাপক রায়হান রাইন জানান, বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাবেক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও গুণীজনদের নিয়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তাদের বাকি দুই দফা দাবি হলো উপাচার্যের অপসারণ ও হামলাকারীদের শাস্তি প্রদান এবং দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তসাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় আইনে উপাচার্যের বিচার ও তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করা।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমান। তিনি বলেন, ‘গত ১৩ নভেম্বর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে ২১ নভেম্বরের মধ্যে হল খুলে দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় সচল করার ব্যাপারে উদ্যোগী না হয়ে ফাঁকা ক্যাম্পাসের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাস্টাররোল ও দৈনিক ভিত্তিতে একের পর এক কর্মচারী নিয়োগ এবং যারা উপাচার্যের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের স্বজনদের নিয়োগের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সব প্রশাসনিক কার্যক্রম চললেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন যে বিপর্যস্ত হতে চলেছে, সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।’

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পাপ্পুর সঞ্চলনায় সংবাদ সম্মেলনে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারেক রেজা, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান, শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। এছাড়াও এ সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. খবির উদ্দিন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ প্রমুখসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, যেকোনো আন্দোলনেই ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এটা আগে থেকে হয়ে আসছে। শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তির কথা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাথায় আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সংকট নিরসনে কাজ করছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close