বশেমুরবিপ্রবি ও গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৫ নভেম্বর, ২০১৯

বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ শিক্ষার্থীর

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ূন কবীরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন নেপাল বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থী। কৃষি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছুমি শিং (২২) গত বুধবার বেলা দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন।

এ সময় ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘হুমায়ূন কবীর নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার সুযোগে তিনি আমার সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়ার চেষ্টা করেন। বিয়ের প্রস্তাবও দেন। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন। আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। এসব কথা আমি অন্য শিক্ষকদের জানাতে চাইলে ওই শিক্ষক আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো ধরনের সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে দেবেন না বলেও হুমকি দেন।’

ছুমি শিং আরো বলেন, ‘আমি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ও দুশ্চিন্তায় ভুগছি। আমার একাডেমিক পড়ালেখায় বিঘœ ঘটছে। এজন্য কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার জন্য দায়ী থাকবেন ওই শিক্ষক।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ূন কবীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলন শুরু করে, সে সময় প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে আমিই সর্বপ্রথম প্রক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করি। এ কারণে সাবেক ভিসিপন্থি শিক্ষক বাংলা বিভাগের বিতান খানমসহ অন্যান্য অনেক শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। আমার নামে ফেক ফেসবুক আইডি খুলে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। ওই সময়ে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। আমার মনে হচ্ছে এই শিক্ষার্থী ওই ধরনের কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. শাহজাহান বলেন, আমার কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। যদি এ ধরনের অভিযোগ এলে তা যৌন নিপীড়ন সেলের মাধ্যমে তদন্ত করা হবে। শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করা হয়ে থাকলে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close