নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৮ নভেম্বর, ২০১৯

সৌদি থেকে শূন্য হাতে ফিরলেন আরো ৯৬ জন

সৌদি আরব থেকে আরো ৯৬ জন খালি হাতে দেশে ফিরেছেন। এ নিয়ে এই মাসের পাঁচ দিনে ৪২১ জন ফিরলেন। গত বুধবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইনসের এসভি ৮০৪ বিমানযোগে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এর আগে ১ নভেম্বর ১০৪ জন, ২ নভেম্বর ৭৫ জন, ৩ নভেম্বর ৮৫ জন, ৪ নভেম্বর ৬১ জন ও ৬ নভেম্বর ৯৬ জন ফিরেছেন।

বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১০ মাসে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ২০ হাজার ৬৯২ বাংলাদেশি।

বরাবরের মতো বুধবার ফেরত আসাদেরও প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়। ফেরত আসাদের মধ্যে একজন কিশোরগঞ্জের তোফাজ্জল। তিনি জানান, মাত্র আড়াই মাস আগে তিনি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। এর মধ্যেই তাকে ফিরতে হলো।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহিউদ্দিন জানান, তিনি তিন বছর ধরে ছিলেন সৌদি আরবে। সাড়ে ১৮ হাজার রিয়াল দিয়ে আকামা নবায়ন করেছিলেন। কিন্তু তাকে এখন ধরপাকড়ে পড়ে ফেরত আসতে হয়েছে শূন্য হাতে। গাজীপুরের মো. হান্নান মিয়া জানান, তিনি ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবে। বৈধ আকামা থাকা সত্ত্বেও সৌদি পুলিশ রাস্তা থেকে ধরে তাকে। আকামা দেখানোর পরও তাকে ছাড়া হয়নি। নোয়াখালীর জয়নাল, ময়মনসিংহের আলম, জামালপুরের সবুজ মিয়া, বরিশালের মামুনসহ আরো অনেকেই তাদের দুরাবস্থার কথা জানান।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, চলতি বছ?র এখন পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার বাংলাদেশিকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ?এ বছরের কোন মাসে কত কর্মী ফিরেছে সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি, গত দুই মাস ধরে ধরপাকড়ের তীব্রতা বেড়েছে। অনেকেই মনে করেন, আকামা থাকলেই বৈধ। কিন্তু কেউ যদি বৈধ আকামা থাকার পরও যেখানে কাজ করার কথা সেখানে না করে অন্য জায়গায় কাজ করেন সৌদি আইন অনুযায়ী সেটাও অপরাধ। এই বিষয়গুলো কর্মীদের বোঝাতে হবে। আর রিক্রুটিং এজেন্সিকেও নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোনো একজন কর্মী যেখানে যান সেখানে গিয়ে সেই কাজ পান। ফ্রি ভিসার নামে প্রতারণা বন্ধ করা উচিত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close