কলকাতা প্রতিনিধি

  ০৩ নভেম্বর, ২০১৯

হোয়াটসঅ্যাপে আড়ি পাতায় বিতর্ক বাড়ছে ভারতে

ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারদের একাংশের ওপর যে আড়ি পাতার চেষ্টা হচ্ছে, সে বিষয়ে মে মাসেই সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল। তড়িঘড়ি সমস্যার মোকাবিলাও শুরু করে দেওয়া হয়। এক বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। জুলাই মাসেই ভারতে এসেছিলেন ফেসবুকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ উইল ক্যাথচার্ট। দুই মাস পর আসেন আরো এক উচ্চপদস্থ অফিসার নিক ক্লেগ। সরকারি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কয়েক প্রস্থ কথাও হয় তাদের। সেই বৈঠকের কথা মনে করিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের আগে জানাননি, পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ইজরায়েলি সংস্থা ইউজারের তথ্য হতানোর চেষ্টা করছে। ভারতের এই অভিযোগকেই নস্যাৎ করে হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, মে মাসেই ভারত সরকারকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের ফোন এবং নজরদারি চলছে। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

হোয়াটসঅ্যাপের মুখপাত্র বলেছেন, একজন ইউজারের নিরাপত্তাই হোয়াটসঅ্যাপের কাছে অগ্রাধিকার পায়। মে মাসেই এ সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হয়েছিল। ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকারি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও দেওয়া হয় সে কথা। তিনি আরো বলেছেন, তারা ভারত সরকারের সঙ্গে একমত। সমস্যা জটিল। তবে একত্রে কাজ করে তারা ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে পারেন।

হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এ বছরের ২৯ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত ১২ দিনে সেলফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেনÑ এমন অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন ওই নজরদারির শিকার হয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, দলিত আন্দোলনের নেতা, মানবাধিকার কর্মী ও রাজনৈতিক নেতা। অন্যদিকে ইজরায়েলি সংস্থা এনএসওও জানিয়েছে, তারা স্পাইওয়্যারটি বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে বিক্রি করেছিল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, কাদের হয়ে কাজ করছিল ইজরায়েলি সংস্থাটি? বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়ে ইতোমধ্যেই সোচ্চার হয়েছে বিরোধী দলগুলো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে অবশ্য বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে ভারত সরকার বদ্ধপরিকর। তার মধ্যে গোপনীয়তার অধিকারও রয়েছে। সেই অধিকার রক্ষার্থে সব আইন ও নিয়মাবলি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। প্রতিটি নির্দোষ ভারতীয়ের তথ্য যাতে সুরক্ষিত থাকে, তা সুনিশ্চিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কেন নাগরিক সমাজের একাংশের ব্যক্তিগত তথ্যে নজরদারি হলো? কারা করেছে, এই কাজ, এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close