নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ অক্টোবর, ২০১৯

পেঁয়াজ রফতানি বন্ধে বিপাকে বাংলাদেশ : ভারতে বাণিজ্যমন্ত্রী

হঠাৎ করে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলেছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবহিত করলে বাংলাদেশ ন্যায্যমূল্যে বিকল্প পথে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখতে পারত। ভারত সফরকালে গতকাল মঙ্গলবার আসাম রাজ্যের গৌহাটিতে ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ স্টেকহোল্ডার্স’ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার। দুই দেশের বাণিজ্য বেড়েই চলছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা হয়েছে ৮ দশমিক ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখানে বাংলাদেশের রফতানি মাত্র ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

টিপু মুনশি বলেন, ভারত সাফটার আওতায় বাংলাদেশকে বেশির ভাগ পণ্যে ডিউটি ফ্রি মার্কেট সুবিধা প্রদান করছে। কিন্তু ভারত কর্তৃক আরোপিত ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ রেয়ার, খাদ্য পণ্যের টেস্টিং প্রক্রিয়া, ন্যূনতম রফতানি মূল্য নির্ধারণ, এসব কারণে বাংলাদেশ প্রত্যাশা মোতাবেক পণ্য ভারতে রফতানি করতে পারছে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সমস্যাগুলো এরই মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য এসব আইন, নিয়ম-কানুন শিথিল করা একান্ত প্রয়োজন। এতে উভয় দেশের বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। হঠাৎ করে ভারত কর্তৃক পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলেছে।

এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবহিত করলে বাংলাদেশ ন্যায্যমূল্যে বিকল্প পথে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখতে পারত।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে অপরিকল্পিত যোগাযোগ ব্যবস্থা সাউথ এশিয়ায় বাণিজ্য বৃদ্ধির বাধা। সাসেক পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বিবিআইএন মোটর ভেহিকেল এগ্রিমেন্ট, ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড প্রটোকল মতো চুক্তি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের বিষয়ে এসওপি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্তু এখনো সন্তোষজনক সুফল অর্জিত হয়নি। এখন সময় এসেছে বর্ণিত উদ্যোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে সুফল অর্জন করার। এ সম্মেলনের মাধ্যমে তা করা প্রয়োজন। এসডিজি অর্জনের জন্য আমাদের এর সুফল কাজে লাগাতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসামের চিফ মিনিস্টার সর্বানন্দ সোনোওয়াল, ত্রিপুরার চিফ মিনিস্টার বিপ্লব কুমার দেব, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ভারত সরকারের রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়ে বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জেনারেল ভি কে সিং, আসাম সরকারের অর্থমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা এবং আসাম সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটওয়ারী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close