আদালত প্রতিবেদক

  ০৭ অক্টোবর, ২০১৯

৩ দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে লোকমান

চার বোতল মদ রাখার মামলায় তিন দফায় ছয় দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ‘ডিরেক্টর ইনচার্জ’ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া গেলেন কারাগারে। তৃতীয় দফায় পাঁচ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল রোববার তাকে ঢাকার আদালতে হাজির করেন মহানগর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই (নিরস্ত্র) মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম।

তিনি আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন জানিয়ে বলেন, আসামি রিমান্ডে চার বোতল বিদেশি মদ হেফাজতে রাখা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, যা যাচাই-বাছাই হচ্ছে। এছাড়া আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে তার পরিচালিত মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের ক্যাসিনো পরিচালনা সংক্রান্ত কিছু তথ্য প্রদান করে, যা যাচাই-বাছাই হচ্ছে। আসামি জামিন পেলে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এজন্য তাকে কারাগারে রাখা প্রয়োজন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের কৌঁসুলি মকবুল হোসেন ফকির ও ইসমাইল জামিনের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে মহানগর হাকিম হাবিবুর রহমান চৌধুরী জামিন আবেদন নাকচ করে লোকমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অন্যতম পরিচালক লোকমান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও পরিচালক।

মতিঝিলে মোহামেডান ক্লাবের অবৈধ ক্যাসিনো বন্ধের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর লোকমানকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। চার বোতল বিদেশি মদ বাসায় পেয়ে তার বিরুদ্ধে হয় মামলা।

ওই মামলায় ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় তেজগাঁও থানা পুলিশ। রিমান্ডে তিনি ‘চতুরতা’ করছেন দাবি করে তাকে আরো দুই দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ফের আদালতের অনুমতি নেওয়া হয়। এরপর তৃতীয় দফা গত বৃহস্পতিবার তাকে আরো দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। মোহামেডানের অবৈধ ক্যাসিনো থেকে আয়ের ৪১ কোটি টাকা লোকমান অস্ট্রেলিয়ায় পাচার করেছেন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি। তবে আরো কোনো মামলা এখনো হয়নি তার বিরুদ্ধে। লোকমানের আইনজীবীরা বলে আসছিলেন, চার বোতল মদ রাখার সাজা ৬ মাস থেকে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদ-, যা জামিনযোগ্য।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close