নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ওমানের সড়কে নবীনগরের চাচা-ভাতিজার মৃত্যু
ওমানের মাছিরাহে সড়ক দুর্ঘটনায় নবীনগরের সীতারামপুর গ্রামে খলিল মিয়ার ছেলে শাহ আলম (২৫) ও আবু তালেব মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর (২৬) মারা গেছেন। এই দুর্ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীরের ভাই আলমগীর হোসেনও আহত হয়েছেন। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওমানের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গত শনিবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। আগামী বছর দেশে ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল তাদের। এদিকে, মৃত্যুর খবর সীতারামপুর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে। চাচা ও ভাতিজার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে নিহত জাহাঙ্গীরের বড় ভাই ওমানে কর্মরত ইকবাল হোসেন জানান, তারা দুজনই ওমানে মাছ ধরার পেশায় নিয়জিত ছিলেন। গত শনিবার রাতে মাছ ধরার কাজ শেষ করে কক্ষে যাওয়ার সময় মাছিরাহে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তারা। মাইক্রোবাসে যাত্রী ছিল আটজন।
সীতারামপুর গ্রামের আবু তালেবের চার ছেলে ও চার মেয়ের সংসারের অভাব অনটন মুছতে পাঁচ বছর আগে ওমানে পাড়ি দেন জাহাঙ্গীর আলম। তিন মাস আগে ছুটিতে এসে তিনি গত ২৫ সেপ্টেম্বর ওমানে যান। শাহ আলমের বাবা খলিল মিয়ার তিন ছেলে ও এক মেয়ের অভাব মুছতে ২০১৯ সালে ৩ লাখ টাকা খরচ করে ছেলেকে ওমানে পাঠান। সেখানে গিয়ে শাহ আলম দালালের খপ্পরে পড়ে কোনো টাকাই দিতে পারেনি বাবাকে।
কান্নাজনিত কণ্ঠে নিহত শাহ আলমের বাবা খলিল মিয়া বলেন, দেনা করে পোলাডারে ওমান পাঠাইয়াছিলাম সুখের আশায়। সড়কে আমার সব সুখ কাইরা নিছে। লাশ আনানোর মতো টাকা আমার কাছে নাই। নিহত জাহাঙ্গীরের বাবা আবু তালেব বলেন, আমার এক পোলা মারা গেছে আরেক পোলা ওমানে আইসিওতে আছে। এখন আমি কি করুম? সীতারামপুর গ্রামের মো. আবদুস ছাত্তার বলেন, শাহ আলম পাঁচ বছর ও জাহাঙ্গীর এক বছর আগে ওমানে গেছে। দুই পরিবারের অবস্থা করুন। মাছ বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছিলেন খলিল মিয়া। এরা দুজনই ভালো ছিল। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাছুম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। পরিবারটির খবর নেওয়া হচ্ছে।
"