ঢাকার শেরেবাংলা নগর এলাকায় চাকরিপ্রত্যাশী এক তরুণীকে ইন্টারভিউয়ের নামে ডেকে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ওই তরুণীকে কোমলপানীয়র সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অচেতনের পর ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মামলা হলে ফাহিম আহমেদ ফয়েজ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফয়েজকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

মামলার তথ্যানুযায়ী, প্রায় এক বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ওই তরুণীর সঙ্গে নাহিদ পাটোয়ারী (৩২) নামে এক যুবকের পরিচয় হয়। গত মঙ্গলবার বেলা ২টার পর মোবাইল ফোনে কল করে ডাকা হয় তরুণীকে। ইন্টারভিউ বোর্ডে ডেকে দু-একটি প্রশ্নের পরই সিগারেট ও মদপানের অফার করা হয়। তরুণী তাতে রাজি না হলে কৌশলে কোকাকোলার সঙ্গে তাকে মদ খাওয়ানো হয়। সেই মদে অজ্ঞান করার ওষুধ মেশানো ছিল। তরুণী অচেতন হওয়ার পর ফাহিম আহমেদ ফয়েজ (৩০) ও নাহিদ পাটোয়ারী (৩২) তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। জ্ঞান ফেরার পর হাতে-পায়ে ধরে অনুরোধ করে বাসায় ফেরেন ওই তরুণী। গত মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেরেবাংলা নগরের ৩নং সড়কের ৩৫/১/বি ভবনের পাঁচতলায় হেল্থ ভিশন নামে এক অফিস কাম বাসায় চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী।

ঘটনার পর বুধবার রাতে ফাহিম আহমেদ ফয়েজ এবং নাহিদ পাটোয়ারীকে অভিযুক্ত শেরেবাংলা নগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন তরুণী। পরে ফাহিম আহমেদ ফয়েজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাহিদ নামে আরেক আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ তলার ওই কক্ষটি পরিবার নিয়ে থাকার জন্য ভাড়া নিয়েছিল ফয়েজ, কিন্তু সেখানে তারা বাসার পাশাপাশি অফিসও চালিয়ে আসছিল। হেপাটাইসিস বি টিকা বিক্রি ও বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করত। শেরেবাংলা নগর থানার ওসি বলেন, ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী ওই তরুণীকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

"