প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৫ আগস্ট, ২০১৯

বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গাসহ নিহত ৩

কক্সবাজারের টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা এবং সিলেটের জকিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক যুবক নিহত হয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরÑ

কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় অভিযুক্ত দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। ফারুক হত্যা মামলার আসামি ধরতে টেকনাফের হ্নীলা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অভিযানে গেলে পুলিশের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ৯টি শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

নিহতরা হলেন মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু এলাকার সাব্বির আহমেদের ছেলে মুহাম্মদ শাহ ও রাসিদং থানা এলাকার সিলখালির আবদুল আজিজের ছেলে আবদু শুক্কুর। তারা টেকনাফের হ্নীলার জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ছিলেন।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুককে হত্যা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। তিনি জানান, মামলার এজাহারে উল্লিখিত পলাতক আসামিরা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছেÑ এমন সংবাদে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাসেল আহমদ গতকাল রাত দেড়টার দিকে অভিযানে যান। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের এসআই মনসুর, এএসআই জামাল ও কনস্টেবল লিটন গুলিবিদ্ধ হন। জীবন ও সরকারি মালামাল রক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা ৪০ রাউন্ড গুলি করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পাহাড়ের গভীরে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ফারুক হত্যা মামলার আসামি মুহাম্মদ শাহ আলম ও আবদু শুক্কুরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

গুলিবিদ্ধ শাহ আলম ও শুক্কুরকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শনিবার ভোরে তাদের নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পৃথক আইনে মামলা করা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।

সিলেট : সিলেটের জকিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তি ডাকাত দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে সিলেটের বিভিন্ন থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার মরিচা এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ঘটে বলে জকিগঞ্জ থানার ওসি মীর মো. আবদুল নাসের জানিয়েছেন। নিহত আবদুস শহীদ (২৩) মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানার ধর্মদিহী গ্রামের মৃত নানু মিয়ার ছেলে। ওসি নাসের বলেন, মরিচা এলাকার প্রবাসী আবদুল করিমের বাড়িতে গভীর রাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়। এ সময় ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়। বাকি আট থেকে নয় জন ডাকাত পালিয়ে যায়। নিহত শহীদের বিরুদ্ধে সিলেট জেলার কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও মোগলাবাজার থানায় ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে ছয়টি মামলা রয়েছে বলে ওসি জানান। তিনি বলেন, বন্দুকযুদ্ধের সময় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close