প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৩ জুলাই, ২০১৯

হত্যা মামলা

খুলনা ও ফরিদপুর ৯ জনের যাবজ্জীবন

খুলনায় হাফেজ ফরহাদুজ্জামানকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৪ জন ও ফরিদপুরে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে পাঁচ জনকে সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

খুলনা : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার হাফেজ ফরহাদুজ্জামানকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৪ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। মামলায় পাঁচজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। নিহত হাফেজ ফরহাদুজ্জামান ডুমুরিয়ার শোভনা ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া গ্রামে মৃত বাবর আলীর ছেলে। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন একই গ্রামের পীর আলী তফাদারের ছেলে শহীদ তফাদার, আমিন সরদার ও তার ভাই আজিজুল সরদার এবং সাত্তার সরদারের ছেলে সোলায়মান সরদার। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন মোমিন সরদার, সবুর সরদার, নুর ইসলাম সরদার, জুলফিকার সরদার ও নিছার সরদার।আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম ইলিয়াস খান জানান, মসজিদের বালু চুরি প্রতিবাদ করায় ২০১৫ সালের ৫ জুন জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে হাফেজ ফরহাদুজ্জামানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ফারুক হোসেন বাদী ৯ জনের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় মামলা করেন।

ফরিদপুর : ফরিদপুরে এক ব্যক্তিকে নির্যাতন করে হত্যার দায়ে যুবদল নেতাসহ পাঁচজনকে সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হত্যা মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ ও আলামত গোপন করার দায়ে ২০১ ধারায় ওই পাঁচজনকে আরো পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদয়ে আরো এক মাস বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ফরিদপুরের বিশেষ দায়রা আদালতের হাকিম মতিয়ার রহমান এ রায় দেন। মামলা চলাকালীন আসামিরা বিভিন্ন সময়ে জামিনে থাকলেও আদালতে যুক্তিতর্ক চলাকালে তাদের সবার জামিন বাতিল করা হয়। রায় ঘোষণার আগে আসামিদের ফরিদপুর কারাগার থেকে পুলিশ প্রহরায় আদালতে নিয়ে আসা হয়। রায় ঘোষণার পর আবার তাদের আদালত থেকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নগরকান্দার চর যশোরদী ইউনিয়ন যুবদলের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ মোল্লা (৩৬) ও তার চার সহযোগী নয়া মোল্লা (৬০), ইমারত মোল্লা (৩২), কালাম মোল্লা (৩৮) ও সিদ্দিক মোল্লা (৩৬)। মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে বিএনপি সরকারের মেয়াদের শেষের দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দার চর যশোরদী ইউনিয়নের যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ মোল্লা ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন অপরাধ পরিচালিত করতেন। চর যশোরদী ইউনিয়নের মেঘারকান্দি গ্রামের কার্তিক সিকদারের এক নাবালিকা মেয়ে চঞ্চলা সিকদারকে জোর করে অপহরণ ও ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন সিরাজ মোল্লা।

এরপর সিরাজ কার্তিক সিকদারের বাড়িঘর দখল করে নিজে বসবাস শুরু করেন। পরে ২০০৬ সালের ১ জুন রাতে সিরাজ ও তার সহযোগীরা কার্তিক সিকদারকে ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে ফেলে রেখে যায়। আহত কার্তিককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতেও বাধা দেয়া হয়। পর দিন ২ জুন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় কার্তিক সিকদার।

২০০৭ সালের ১৩ মার্চ নিহত কার্তিক সিকদারের স্ত্রী মিলনী সিকদার জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে এসে সিরাজ সিকদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close